এই তফসিলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব, কমিশনের আন্তরিকতার অভাব নেই: জাপা

|

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ আগামী ২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা এ তারিখ ঘোষণা করেন।

সিইসির ঘোষণার পরপরই এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সংসদে বর্তমান বিরোধীদল জাতীয় পার্টি (জাপা)। দলটির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, এই তফসিলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। কমিশনের সততা আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই।

তিনি আরও বলেন, আমাদের উচিত দল মত নির্বিশেষে সবাই কমিশনকে সহায়তা করি। জাপা জনগণের ওপর আস্থা রাখে। তাই আমরা জনগনের ওপরই রায়ের সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিতে চাই।

এর আগে জাতির উদ্দেশে ভাষণে সিইসি জানান, প্রার্থীরা আগামী ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে পারেবন। এছাড়া মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের তারিখ ২২ নভেম্বর এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৯ নভেম্বর।

ভাষণে সিইসি কে এম নুরুল হুদা বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আইন সংস্কার, ভোটার তালিকা প্রস্তুতসহ ৭টি করণীয় বিষয় স্থির করে ২০১৭ সালে একটি কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত করেছিলাম। সংলাপের মাধ্যমে ৪০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম প্রতিনিধি, পর্যবেক্ষক সংস্থা, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও নারীনেত্রী সংগঠনের কাছে কর্মপরিকল্পনাটি তুলে ধরেছিলাম। তাদের পরামর্শ এবং সুপারিশ বিচার-বিশ্লেষণের পর করণীয় বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করা হয়েছে। যেমন- কতিপয় আইন ও বিধি সংশোধন করা হয়েছে। সংসদীয় এলাকার সীমানা পুনঃনির্ধারণ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রায় ৪০ হাজার ভোটকেন্দ্রের বাছাই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ৭৫টি রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়েছে। কর্মকর্তাগণের সক্ষমতা অর্জন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চলমান রয়েছে। প্রথমবারের মত পোলিং এজেন্টগণের প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখের মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ইতোমধ্যে নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু হয়ে গিয়েছে। কমিশনারগণ সংবিধানের আলোকে সংসদ নির্বাচন পরিচালনা করার শপথ নিয়েছেন এবং তাতে তারা নিবিষ্ট রয়েছেন। নির্বাচনি সামগ্রী ক্রয় এবং মুদ্রণের কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। আন্ত:মন্ত্রণালয় বৈঠকে পারস্পরিক পরামর্শ আদান-প্রদান করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী নির্বাচনি দায়িত্বে নিবেদিত রয়েছেন। আমাদের প্রস্তুতি সর্ম্পকে মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেছি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply