‘সত্যিকারের রাজবন্দীদের’ মুক্তির বিষয়ে আইনমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

|

‘সত্যিকারের রাজবন্দীদের’ মুক্তির বিষয়ে আইনমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আজ বুধবার ঐক্যফ্রন্টের সাথে দ্বিতীয় দফা সংলাপ শেষে এ নির্দেশ দেন তিনি।

তবে ‘সত্যিকারের রাজবন্দী’ বলতে কোন বন্দীদেরকে বোঝানো হয়েছে তা এখনও পরিষ্কার নয়।

এর আগে সংলাপ শেষে বিকালে গণভবন থেকে বেরিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সুন্দর পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু ঐক্যফ্রন্টের প্রস্তাব অনুযায়ী সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবির বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ঐক্যফ্রন্ট তার মুক্তি চায়নি, জামিন চেয়েছে। আদালত যদি জামিন দেয় তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আর রাজবন্দীদের মুক্তি চেয়ে। সত্যিই কেউ রাজবন্দী হিসেবে থাকলে তাদের মুক্তি দিতে আপত্তি নেই সরকারের।

কাদের বলেন, সংবিধান অনুযায়ী সরকারের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাদকতা রয়েছে। কিন্তু ঐক্যফ্রন্ট চেয়েছে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে। এই প্রস্তাব সংবিধানের বাইরে হওয়ার কারণে এটি মানার সুযোগ নেই।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন পেছালে কোনো অসাধু শক্তি সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করতে পারে। কাউকে এমন সুযোগ করে না দিতে ফ্রন্ট নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান কাদের।

এছাড়া নির্বাচনকালীন ১০ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের বিষয়ে ফ্রন্টের প্রস্তাবও সংবিধানবহির্ভূত বলে নাকচ করা হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করার প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী রাজি হয়েছেন। মন্ত্রী-এমপিরা সরকারি গাড়ি, সুবিধা ইত্যাদি গ্রহণ করতে পারবেন না। বিরোধী প্রার্থীদের মতো ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা নির্বাচন করবেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন থাকবে। বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনীকে মাঠে নামানোর নজির বিশ্বে কোথাও নেই।

তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, আপনারা আসুন, আমরা অবাধ নির্বাচন করবো। একটা ভাল নির্বাচন হবে। গ্রহণযোগ্য হবে। কোনো কারচুপি হবে না। বিদেশি পর্যবেক্ষকরা থাকতে চাইলে পারবেন। নির্বাচন কমিশন তাদেরকে এলাউ করলে তারা তা করতে পারবেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply