ইমরুলের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৭১

|

ইমরুল-সাইফউদ্দিনের শতরানের জুটি ও ইমরুলের ১৪৪ রানের ওপর ভর করে শেষ পর্যন্ত জিম্বাবুয়েকে ২৭২ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ। ইমরুলের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে বাংলাদেশ ৫০ ওভার খেলে ৮ উইকেটে ২৭১ রান সংগ্রহ করে।

১৩৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান ইমরুল কায়েস। সফলও হয়েছেন তিনি। তাকে যোগ্য সহযোদ্ধার সমর্থন দিয়েছেন সাইফউদ্দিনও। শেষপর্যন্ত ১৪০ বলে ১৪৪ রান করে সাজ ঘরে যায় ইমরুল কায়েস। কায়েস আউট হওয়ার পরেই ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করে আউট হয়ে যায় সাইফ উদ্দিন।

রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার দলপতি মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। ম্যাচের গোড়াপত্তন করতে নামেন লিটন দাস ও ইমরুল কায়েস। তবে শুভসূচনা এনে দিতে পারেননি তারা। শুরুতেই টেন্ডাই চাতারার শিকারে পরিণত হন লিটন।

পরে ক্রিজে আসেন ফজলে মাহমুদ রাব্বি। তবে অভিষেকটা রাঙাতে পারেননি তিনি। একই বোলারের শিকার বনে ডাক মেরে ফেরেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এতে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করেন ইমরুল। দারুন সঙ্গ দিচ্ছিলেন মিস্টার ডিপেন্ডেবলও। তবে হঠাৎই ছন্দপতন। দলীয় ৬৬ রানে ব্রেন্ডন মাভুতার বলে হার মানেন তিনি। ফলে চাপেই থাকে বাংলাদেশ।

সেখান থেকে মোহাম্মদ মিথুনকে নিয়ে নিয়ে চাপ কাটিয়ে উঠেন ইমরুল। যোগ্য সহযোদ্ধার সমর্থন দিচ্ছেলেন মিথুন। তবে হঠাৎই খেই হারিয়ে ফেলেন তিনি। দলীয় ১৩৭ রানে কাইল জার্ভিসের শিকার হয়ে ফেরেন এ মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান। ফেরার আগে ৪০ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৭ রান করেন তিনি।

মিথুন ফেরার পর ক্রিজে আসেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে নির্ভরতার পরিচয় দিতে পারেননি তিনি। খানিক পরেই জার্ভিসের ছোবলে কাটা পড়েন মিস্টার কুল। এতে ফের চাপে পড়ে টাইগাররা। সেই চাপের মধ্যে এ পেসারের তৃতীয় শিকার হয়ে ফেরেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৩৭/৩ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে স্কোরটা হয়ে যায় ১৩৯/৬। ২ রানের মধ্যে ৩ উইকেট খুইয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে স্বাগতিকরা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply