সমালোচনার নামে অসম্মানের সংস্কৃতি থেকে বের হবার আহ্বান ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের (ভিডিও)

|

ছবি: সংগৃহীত

তাহমিদ অমিত:

বাংলাদেশের মানুষের জন্য ক্রিকেট এখন শুধু একটা খেলাই না, এ যেন অক্সিজেন। তাই তো, ২২ গজের সাথে একাকার হয়ে যায় পুরো বাংলাদেশের আবেগ-বিশ্বাস। ফলে টাইগারদের হার যেন সহ্যই করতে পারেন না দর্শকরা। ভালোবাসার টাইগারদেরও তোলা হয় কাঠগড়ায়। সমালোচনা কখনও কখনও রূপ নেয় ব্যক্তিগত আক্রমণেও। এমন অবস্থায় আলোচনায় এসেছে বাংলাদেশের ক্রিকেট সংস্কৃতি।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সিরিজগুলোর অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়, ম্যাচের ফল খারাপ হলেই দলকে ঘিরে শুরু হয় দায় চাপানোর খেলা। বলির পাঁঠা বানানো হয়- কখনও কোচ, কখনও ক্রিকেটারদের। ব্যতিক্রম নয় সাধারণ দর্শকরাও। তারাও হাঁটেন কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমের পথে। কড়া সমালোচনা করেন খেলায়াড়সহ টিম সংশ্লিষ্টদের। তবে খেলাধুলা অঙ্গণে এ ধারা যে মোটেও স্বাস্থ্যকর না তেমনটাই জানালেন সংশ্লিষ্টরা। সুস্থ ক্রিকেট সংস্কৃতি গড়ে তোলার আহ্বান তাদের।

বাংলাদেশে কোটি কোটি মানুষের আবেগ তৈরি করেছে ক্রিকেটের এক বড় বাজার। যেখানে সদাই কেনার সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় না কেউই। আবেগকে পুঁজি করে কখনও খেলে ক্রিকেটার, কখনও গণমাধ্যম। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ। আর তাতে পুড়েই খাক হন কখনও রাসেল ডোমিঙ্গো কখনও চান্দিকা হাথুরুসিংহে কখনওবা সাকিব, মুশফিক, লিটন দাসরা।

খেলায় হার জিত থাকবেই; থাকবে সমালোচনাও। আঁতশি কাঁচে ধরা দেবে অসঙ্গতিও। কিন্তু, সমালোচনার নামে ঘৃণা ছড়ানো, ব্যক্তিগত আক্রমণ করা মোটও স্বাস্থ্যকর নয়, বলছেন ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা।

এ নিয়ে ক্রিকইনফোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি মোহাম্মদ ইসাম বলেন, এটা ভালো ক্রিকেট সংস্কৃতির অংশ না। এখানে অ্যাকাউন্টিবিলিটি-প্রফেশনালিজম খুব কম। ফলে এখানে ব্লেম-গেম খেলা খুব সহজ। সবচেয়ে সহজ অন্যকে ব্লেম করা। এখানে একটা কালচারই তৈরি হয়ে গেছে যে, ব্লেইম করো, কোচ-প্লেয়ারদেরকে বের করো। আমরা ধরে নিই যে, তামিম চলে গেলে ভাল হবে, সাকিব চলে গেলে ভাল হবে। ডমিঙ্গো চলে গেছে ভাল হয়েছে, সিমন্স চলে গেছে ভাল হয়েছে। আবার আসলে ভাল হবে। মানে, কারও আসা-যাওয়াতে কোনো ডিফারেন্স মেক করে না আর এটাতে কিন্তু আমরা ইতোমধ্যে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি। যা খুবই নেতিবাচক।

প্রসঙ্গত, ভক্তরা ক্রিকেট খেলা দেখেন হৃদয় দিয়ে কিন্তু ক্রিকেট বোদ্ধা বা গণমাধ্যমকর্মী খেলাটি দেখেন মাথা দিয়ে। কিন্তু সমস্য হয় তখনই যখন হৃদয় আর মাথা মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। পেছনে পড়ে যায় ঘরোয়া ক্রিকেটের নানা অসঙ্গতি। বরং তৈরি হয় ঘৃণা আর অসম্মান। যা একটি সুস্থ ক্রিকেট সংস্কৃতি গড়ে তুলতে বড় অন্তরায়।

এএআর/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply