যাদের টানে বাংলাদেশে এমি, সাক্ষাৎ পাচ্ছে না সেই ভক্তরাই

|

সুদূর আর্জেন্টিনা থেকে আমস্টারডাম হয়ে প্রায় ৩৬ ঘণ্টার ভ্রমণে হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এখন ঢাকায় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার তারকা গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। সোমবার (৩ জুলাই) ভোর ৫টা ১০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছান তিনি। আর্জেন্টাইন ‘বাজপাখি’কে এক নজর দেখার আশায় ভোর থেকে অপেক্ষা করেছে ভক্তরা, যাদের কথা শুনেই এমি পাড়ি দিয়েছেন এই দীর্ঘ পথ। তবে, হতাশ হতে হয়েছে আকাশি নীল সমর্থকদের।

আর এই হতাশাও স্বাভাবিক। ঢাকার আকাশে যখন সকালের আলোও ফোটেনি, তখনও বাংলাদেশি কিছু আর্জেন্টাইন ভক্ত এক বুক আশা নিয়ে আকাশি নীল পতাকা হাতে হাজির হন বিমানবন্দরে। তাদের ইচ্ছে এমিকে একবার কাছ থেকে দেখার। অবশ্য যাদের টানে ঢাকায় আসা, সেই সমর্থকদের সঙ্গেই দেখা হওয়ার সুযোগ নেই মার্টিনেজের। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা সেরে হোটেলের পথে রওনা হন মার্টিনেজ ও তার সফরসঙ্গীরা। ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ঘণ্টা চারেক বিশ্রাম নিয়ে উত্তর বাড্ডায় স্পনসর প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে যান আর্জেন্টাইন ‘বাজপাখি’।

আয়োজকরা মার্টিনেজকে স্বাগত জানাতে সংসদ সদস্য ও জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাকে আমন্ত্রণ জানায়। আর্জেন্টিনার ভক্ত হওয়ায় সন্তানদের সঙ্গে নিয়েই এসেছিলেন ম্যাশ। মার্টিনেজের সঙ্গে প্রায় আধঘণ্টা সময় কাটিয়েছেন মাশরাফী। ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকও। তবে প্রবেশাধিকার ছিল না গণমাধ্যমের। পৌঁনে এক ঘণ্টা সময় কাটিয়ে এমির বহর বাড্ডা ছাড়ে সোয়া দশটা নাগাদ। দেখা করতে যান প্রধানমন্ত্রীর সাথে। বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে কলকাতার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন এমি।

কলকাতার স্পোর্টস প্রোমোটর শতদ্রু দত্ত আয়োজন করেন এমিলিয়ানোর কলকাতা সফর। তখন আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ী নিজেই ঢাকা আসতে চান। কাতার বিশ্বকাপ চলাকালেই আর্জেন্টাইন গণমাধ্যমে আসে বাংলাদেশে লাতিন দেশটির জন্য অবিস্মরণীয় উন্মাদনার খবর; যা পৌঁছে যায় আলবিসেলেস্তে শিবিরেও। বাংলাদেশের সমর্থকদের প্রতি কথাও বলেছেন মেসি-স্কালোনিরা। সেই থেকেই এমিলিয়ানোর বাংলাদেশে আসার আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি হওয়াটাই স্বাভাবিক। যে অগণিত ভক্ত-সমর্থকদের উন্মাদনার ছবি-ভিডিও দেখে তাদের সাথে সাক্ষাতের আশায় ঢাকা এসেছেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, তাদের সাথেই দেখা হচ্ছে না এই বিশ্বকাপ জয়ীর। ভক্তরা তো অবশ্যই হতাশ। এমিলিয়ানোও কি নন?

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply