খেরসনে রুশ হামলায় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত কাখোভকা বাঁধ

|

ডেইলি সাবাহ থেকে নেয়া ছবি।

খেরসনে রুশ হামলায় গুরুত্বপূর্ণ একটি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। এতে নিকটবর্তী আটটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা। এদিকে, বাঁধে হামলার দায় অস্বীকার করে মস্কো জানিয়েছে, কাখোভকা প্ল্যান্টের ওপরের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বাঁধের কোনো ক্ষতি হয়নি। খবর বিবিসির।

মঙ্গলবার (৬ জুন) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানায়, নোভা কাখোভকায় জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে। সেখানকার মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। বাঁধসংলগ্ন শহরগুলোতে পানির উচ্চতা ১২ মিটার পর্যন্ত যেতে পারে বলে জানিয়েছেন শহরটির মেয়র ভ্লাদিমির লেওনতিয়েভ (রাশিয়া নিযুক্ত)। তার আশঙ্কা, খেরসনের ১৪টি এলাকার অন্তত ২২ হাজার মানুষ বন্যাকবলিত হতে পারে। 

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কির অভিযোগ, রাশিয়াই কাখোভকা বাঁধে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। কেনো রুশ বাহিনীকে ইউক্রেনের ভূখণ্ড থেকে সরানো প্রয়োজন তা এবার সবাই উপলব্ধি করতে পারবে।

এ প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) বলছে, বাঁধ ভাঙার কারণে প্ল্যান্টে তাৎক্ষণিক পারমাণবিক নিরাপত্তাঝুঁকি নেই তবে আমরা সতর্কতার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।

বিশ্লেষকদের মতে, এ বাঁধ ধ্বংস হওয়ায় আরও একটি মানবিক দুর্যোগের সাক্ষী হতে পারে ইউক্রেন। নিজেদের ভূখণ্ড ফিরে পেতে ইউক্রেন যখন পাল্টা হামলার প্রস্তুতিতে নিচ্ছে, তখনই এ বাঁধ ধ্বংসের ঘটনা যুদ্ধক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে বলেও মনে করছেন তারা। 

উল্লেখ্য, নোভা কাখোভকার এ বাঁধটি নির্মিত হয়েছিলো ১৯৫৬ সালে। ইউক্রেনের ক্রিমিয়া ও ঝাপোরজিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে পানি সরবরাহ করে বাঁধটি। এ দুটি স্থানই এখন রুশ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। 

এদিকে, বাঁধ ধ্বংসের সমালোচনায় সরব এখন বিশ্ব নেতারা। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শুলৎস ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রসচিব জেমস ক্লিভারলি, ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ প্রমুখ এ হামলাকে ‘আক্রোশজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply