জাতীয় দলে ডাক পেয়ে অবাক হননি দিপু, খেলতে চান মিডল অর্ডারে

|

শাহাদত হোসেন দিপু।


তাহমিদ অমিত:

জাতীয় দলে ডাক পেয়ে অবাক হননি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী শাহাদত হোসেন দিপু। ঘরোয়া লিগে ভালো করার পুরস্কার হিসেবেই পেয়েছেন আফগানদের বিপক্ষে টেস্ট দলে ডাক। প্রিমিয়ার লিগে দুর্দান্ত পারফর্ম করা দিপু বলছেন, লাল বলের ক্রিকেটাই তার পছন্দের। খেলতে চান মিডল অর্ডারেই। লাল সবুজ জার্সিতে খেলার খবর কীভাবে-কখন পেলেন, বাবা হারানোর পর জীবনের সংগ্রামসহ নানা বিষয়ে এ তরুণ ক্রিকেটার কথা বলেছেন প্রথম দিনের অনুশীলন শেষে।

সোমবার (৫ জুন) ইনডোরে নেটের সামনে খানিক অপেক্ষার পর কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহের সামনে ব্যাটিং ঝলক দেখালেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দিপু। দিপুকে বলা হয়, ঝিনুকের ভেতরে থাকা মুক্তা। বাংলাদেশের ক্রিকেটে পরবর্তী সুপার স্টার। তার সতীর্থরা এরইমধ্যে জাতীয় দলে এলেও দিপু মূলত আলো কাড়েন এবারের ঢাকা লিগে। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ওপেনিং এ করেছিলেন ৪৮০ রান।

এর আগে, উইন্ডিজের এ দলের বিপক্ষে টানা দুই হাফ সেঞ্চুরি। ওপেনিং এরপর মির্ডল অর্ডার। প্রথম সংবাদ সম্মেলনে জানালেন নিজের স্বাচ্ছন্দের জায়গা।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শাহাদত হোসেন দিপু বললেন, লং ভার্সনে আমি সাধারণত ৪ বা ৫ নম্বরেই ব্যাটিং করি। সব ফরমেটেই স্বচ্ছন্দ্যবোধ করি।

তবে বিকেএসপি থেকে বাদ পড়ার পর দিপুর চলার পথটা মোটেও মসৃণ ছিলো না। মাত্র ৯ বছর বয়সে বাবা হারানোর পর কীভাবে এতোদূর আসা সেটিও জানান এ তরুণ ক্রিকেটার।

দিপু বলেন, বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই বড় ভাইয়ের অনেক সাপোর্ট পেয়েছি। সুদীপ্ত ভাই নামে এক ক্রিকেটার বড়ভাই ছিলেন। একাডেমিতে ভর্তি করানো বা খেলার সরঞ্জাম ম্যানেজ করায় উনি অনেক হেল্প করেছেন।

প্রসঙ্গত, নির্বাচকদের পরিকল্পনা ছিলো একাদশে খেলালেই শুধু দিপুকে নেয়ার। তাই আফগানিস্তানের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে অভিষেক হলে অবাক হবার কিছুই থাকবে না।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply