মাঝ সমুদ্রে অল্পের জন্য মুখোমুখি সংঘর্ষ এড়ালো মার্কিন-চীনা যুদ্ধ জাহাজ

|

সমুদ্রে দুই যুদ্ধজাহাজ বিপজ্জনকভাবে কাছাকাছি চলে আসে। ছবি: সংগৃহীত।

তাইওয়ান প্রণালীতে বিপজ্জনকভাবে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী জাহাজের মুখোমুখি চীনের যুদ্ধজাহাজ। চীন-তাইওয়ান মধ্যবর্তী প্রণালীতে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা যৌথ নৌমহড়া চলাকালীনই ঘটে এ ঘটনা। মাত্র দেড়শ’ গজের মধ্যে চলে আসে জাহাজ দুটি। অবশ্য সংঘাত এড়াতে গতি কমাতে বাধ্য হয় যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ। এ ঘটনাকে বেইজিংয়ের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ বলে নিন্দা জানিয়েছে ওয়াশিংটন। চীন-মার্কিন চলমান উত্তেজনায় এ ঘটনা আরও ঘি ঢাললো বলে আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্টরা। খবর রয়টার্সের।

জানা গেছে, ঘটনার দিন সমান্তরালে চলছিল মার্কিন মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস চাং-হুন ও কানাডার এইচএমসিএস মন্ট্রিয়াল। এমন সময় হঠাৎ গতিপথ পাল্টে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যায় চীনের যুদ্ধজাহাজটি। উপস্থিত হয় চাং-হুনের ঠিক সামনে। তখন দুই জাহাজের দূরত্ব মাত্র দেড়শ’ গজ বা সাড়ে চারশ’ ফুট। সংঘর্ষ এড়াতে গতি কমিয়ে দেয় চাং হুন।

এ বিষয়ে এইচএমসিএস মন্ট্রিলের কমান্ডার পল মাউন্টফোর্ড বলেন, রেডিওর মাধ্যমে আগেই তারা ঘোষণা করেছিল। এতেই স্পষ্ট যে এমন পদক্ষেপ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। মাত্র দেড়শ’ গজের মধ্যে চলে আসাটা রীতিমতো ভীতিকর। এমন দূরত্বে অনেক ধরনের দুর্ঘটনাই হতে পারে।

মার্কিন নেভি ও কানাডার সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল নিউজ প্রকাশ করে ঘটনার একটি ভিডিও। যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ডের এক বিবৃতিতে বলা হয়, চীনের জাহাজটি দ্বিতীয়বারের মতো ২ হাজার মিটার দূরত্বে ডান থেকে বাঁ দিকে আসে এবং বরাবর চলতে থাকে। এটিকে আন্তর্জাতিক সমুদ্র চলাচল আইনের লঙ্ঘন বলে অভিযোগ পেন্টাগনের। বেইজিংয়ের কৌশলকে অনিরাপদ ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে আখ্যা দেয় তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, তাদের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ, বিশেষ করে গত কয়েকদিন ধরেই আমরা উদ্বেগ জানিয়েছি। সমুদ্রপথে তাদের আচরণ জবরদস্তিমূলক। এর আগে আমাদের এয়ারক্রাফট চলাচলেও বাধা তৈরি করেছে তারা। আবারও একইরকম একটি ঘটনা। তাদের সাবধান হতে বলবো। কারণ বড় দুর্ঘটনা হতে পারতো।

গত মাসের শেষ দিকেই দক্ষিণ চীন সাগরের ওপরের আকাশসীমায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি নজরদারি বিমানের খুব কাছ থেকে উড়ে যায় চীনের যুদ্ধবিমান।

মহড়ায় অংশ নিতে গত ২৫ মে থেকেই দক্ষিণ চীন সাগর ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে মার্কিন ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস চুং-হুন ও কানাডার নৌবাহিনীর ফ্রিগেট এইচএমসিএস মন্ট্রিয়াল। যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের এমন আচরণকে উস্কানিমূলক আখ্যা দিয়ে সতর্কবার্তা দেয় বেইজিং।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply