‘অনেক দেশে মূল্যস্ফীতি বাড়লেও এখন তা কমেছে, আমাদের এখানে উল্টো’

|

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও এই বাজেটের চার ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। মূল্যস্ফীতির জন্য আন্তর্জাতিক বিশ্বকে দায়ী করা হচ্ছে। যদিও তা ঠিক নয়। অনেক দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়েছিল, তা কমে এসেছে। কিন্তু আমাদের এখানে উল্টো বাড়ছে।

শনিবার (৩ জুন) দুপুরে মেট্রোপলিটন চেম্বার ও পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউট আয়োজিত বাজেট পর্যালোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেন ব্যবসায়ী নেতা ও অর্থনীতিবিদরা।

বাজেটের অন্য চারটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে- সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা, রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি, বাজেট ঘাটতি পূরণ এবং সামাজিক নিরাপত্তা খাতে অর্থায়ন। আলোচকরা বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়াতে সংস্কার দরকার। স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠাও জরুরি। অর্থনীতিবিদদের অভিযোগ, এনবিআর ট্যাক্স সার্ভিস এজেন্সি থেকে ট্যাক্স পুলিশে পরিণত হয়েছে। এখান থেকে বেরিয়ে আসা প্রয়োজন। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে কর-জিডিপির অনুপাত বাড়ানোর তাগিদ দেয়া হয়। বলা হয়, ব্যবসাবান্ধব রাজস্ব নীতি প্রয়োজন। করের জাল এমনভাবে বিস্তৃত করা উচিত যাতে বিনিয়োগের লাগাম টেনে ধরা না হয়। অর্থনীতিবিদরা বলেন, আগামী বাজেটে সরকার বিপুল পরিমাণ ব্যাংক ঋণ গ্রহণের লক্ষ্য স্থির করেছে। এতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হতে পারে ।

ছবি: পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, নির্ধারিত কয়েকটি খাতেই ভর্তুকি দেয়া হবে। তিনি বলেন, ভর্তুকির বিচ্যুতি সম্পর্কে সবাই আমরা স্বীকার করতাম, কিন্তু নানা কারণে বলতাম না। এটা এবার স্বীকৃত হয়েছে। ভর্তুকি থেকে সরে আসার একটি ঘোষণা এখানে প্রচ্ছন্নভাবে আছে। তবে এখানে ‘সিলেক্টিভ’ কিছু ভর্তুকি থাকবে; যেমন- খাদ্য নিরাপত্তা।

আরও পড়ুন: বাজেটে বরাদ্দ ও লক্ষ্যমাত্রা অসামঞ্জস্যপূর্ণ; আইবিএফবি’র বাজেট প্রতিক্রিয়া

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply