পর্বতারোহীদের ফেলে আসা বর্জ্যে এভারেস্ট এখন আবর্জনার পাহাড়

|

ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত ছবি।

এভারেস্ট এখন আবর্জনার পাহাড়! শুনতে অবাক লাগলেও, দশকের পর দশক ধরে পর্বতারোহীদের ফেলা আসা বিপুল পরিমাণ বর্জ্যে রীতিমতো আবর্জনার স্তুপে পরিণত হয়েছে বিশ্বের সর্বোচ্চ এ শৃঙ্গ। এতে এভারেস্টের পরিবেশ ভয়াবহ দূষণের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আবর্জনা অপসারণ ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণের পরও হচ্ছে না অবস্থার পরিবর্তন। খবর এবিসি নিউজের।

গত কয়েক দশক ধরে বাণিজ্যিক আরোহণের ফলে মানববর্জ্যের সাথে হাজার হাজার ক্লাইম্বারের ফেলে যাওয়া জুতা, তাঁবু, অক্সিজেন সিলিন্ডার- কী নেই এভারেস্টে!

শুধু এভারেস্ট না, এমন দুরাবস্থা এখন সমগ্র হিমালয় রেঞ্জ জুড়েই। আট হাজার মিটারের এ পর্বতের প্রায় সবগুলোতেই জমেছে আবর্জনা। সেসবের পরিমাণ এতোটাই বেশি যে, একে এখন বলা হচ্ছে ‘পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু ভাগাড়’। বর্জ্য পরিস্কারে গত কয়েক বছর ধরে এভারেস্টে মৌসুমি অভিযান চালাচ্ছে নেপাল সরকার। চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসেই ১৩ টন বর্জ্য অপসারণ করেছে কর্তৃপক্ষ। অবস্থা বেগতিক দেখে ব্যক্তি উদ্যোগে আবর্জনা পরিস্কারে নেমেছেন শেরপারা। যাদের অন্যতম তেনজি শেরপা। একাই দুশ কেজি বর্জ্য সরানোর পাশাপাশি সচেতনতা বাড়াতে সামাজিক মাধ্যমে সরব হয়েছেন তিনি।

গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মাউন্টেনিয়ারিং গাইড তেনজি শেরপা বলেন, এখন পর্যন্ত দুই নম্বর ক্যাম্পের ২০০ কেজি ময়লা নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু, এবার আবর্জনার পরিমাণ আরও বেশি। পর্বতারোহীদের উদ্দেশে বলতে চাই, যদি আপনার ব্যবহৃত ময়লা বহন করতে না পারেন, তাদের এভারেস্টে আসার কোনো দরকার নেই।

এভারেস্ট ট্রেকিংয়ে পর্বতারোহীরা যে বর্জ্য ফেলেন তা ঠেকাতে কর্তৃপক্ষের কাছে আরোহণের আগে ৪ হাজার ডলার জমা রাখার নিয়ম রয়েছে। আবর্জনা নিয়ে আসলে, তবেই ফেরত দেয়া হয় অর্থ। তবে এতোসব বিধিনিষেধেও অবস্থার কোনো উন্নতি হচ্ছে না। কর্তৃপক্ষ বলছে, অধিক উচ্চতার ক্যাম্পগুলো পর্যবেক্ষণে রাখা কঠিন।

এদিকে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে গলছে এভারেস্টের হিমবাহ। এতে দশকের পর দশক ধরে বরফের নিচে চাপা পড়া আবর্জনা, এমনকি বেরিয়ে আসতে পারে এভারেস্টে প্রাণ হারানো পর্বতারোহীদের মরদেহও!

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply