সহজে ওজন কমানোর ৩ উপায়

|

ওবেসিটি বা স্থূলতা বর্তমানে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ এটাই বিভিন্ন রোগের অন্যতম প্রধান কারণ। আসলে ওবেসিটির প্রভাব পড়ে হার্ট থেকে কিডনির মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে। বেড়ে যায় ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও। আসলে জীবনযাপনের ধরনই এর জন্য দায়ী। অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া থেকে শুরু করে বহু সময় ধরে এক জায়গায় বসে কাজের কারণে দেহের ওজন বেড়ে যায়। ওজন কমানোটাই আজ চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। তবে এই তিন উপায় মেনে চললে তা সহজেই কমানো এবং নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। দেখে নেয়া যাক সেই উপায়গুলি।

রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ হ্রাস:

যারা দ্রুত ওজন কমাতে চান, তাদের খাদ্যতালিকা থেকে চিনি, স্টার্চ বা কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে। এই রিফাইন করা কার্বোহাইড্রেটের বদলে বরং ডায়েটে যোগ করতে হবে হোল গ্রেন জাতীয় খাবার। কম ক্যালোরিযুক্ত এই খাবার খেলে পেট অনেকক্ষণ ভর্তি থাকবে। রিফাইন করা কার্বোহাইড্রেটের তালিকায় রয়েছে সাদা রুটি, সাদা ভাত, চিনি, পাউরুটি, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, পাস্তা, কর্ন সিরাপ ইত্যাদি।


যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।

ডায়েটে প্রোটিন, ভালো ফ্যাট এবং শাকসবজি:

ওবেসিটি কমানোর জন্য না খেয়ে থাকার প্রয়োজন নেই। ফাস্ট ফুড এবং জাঙ্ক ফুডের বদলে ডায়েটে রাখতে হবে হাই প্রোটিন এবং ভালো ফ্যাট জাতীয় খাবার। মনে রাখা জরুরি, ওজন কমাতে গিয়ে কিন্তু স্বাস্থ্য কিংবা পেশিকে দুর্বল করে দিলে চলবে না।

উদ্ভিজ্জ উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের তালিকায় রয়েছে মটরশুঁটি, ওটমিল, লেবুজাতীয় ফল, টোফু, সয়াবিন প্রভৃতি। দুগ্ধজাত উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার হলো পনির। আর উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ আমিষ জাতীয় খাবার হলো মাছ, মাংস, ডিম প্রভৃতি। এর পাশাপাশি সবুজ শাক-সবজিও পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে হবে। এছাড়া অলিভ অয়েল, অ্যাভোক্যাডো অয়েল, বাদাম এবং বীজজাতীয় খাবারের মতো স্বাস্থ্যকর ফ্যাট জাতীয় খাবার ডায়েটে রাখতে হবে।

নিয়মিত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঞ্চালন:

ওজন কমানোর জন্য শরীরকে সব সময় সচল রাখা উচিত। এর জন্য সকাল-সন্ধ্যায় নিয়মমাফিক কমপক্ষে আধ ঘণ্টা করে হাঁটতে হবে। এছাড়া এরোবিক এক্সারসাইজসহ যেকোনো প্রকার এক্সারসাইজ করলেও দ্রুত ওজন কমে। এই তালিকায় থাকবে সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা, নাচ, যোগাভ্যাস ইত্যাদি। এমনকি ভারোত্তোলনও ওজন কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতে ক্যালোরি বার্ন হয়। এর পাশাপাশি একটানা বসে বেশিক্ষণ কাজ না করে মাঝেমধ্যে উঠে হাঁটাচলা করা উচিত।
তথ্যসূত্র: নিউজ এইটিন
ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply