শুল্কায়ন সংক্রান্ত মামলার প্যাঁচে চট্টগ্রামে আটকে হাজার কোটি টাকার রাজস্ব

|

শুল্কায়ন সংক্রান্ত ১০ হাজার মামলার বিপরীতে আটকে আছে হাজার কোটি টাকার রাজস্ব। মামলা জট কমাতে চালু করা ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি’ প্রথাও অকার্যকর। গত ৫ বছরে জমা পড়েনি একটি আবেদনও। মামলার জালে আটকে আছে আমদানিকারকদের ব্যাংক গ্যারান্টির বিপুল পরিমাণ অর্থ।

২০১২ সাল থেকে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে শুরু হয় বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি প্রথা। উদ্দেশ্য ছিল, আমদানিকারক এবং কাস্টমস দু’পক্ষের সমঝোতায় মাধ্যমে মামলা জট কমিয়ে আনা।

শুরুর দিকে, এভাবে বেশকিছু মামলার নিষ্পত্তিও হয়, বাড়ে রাজস্ব আদায়। কিন্তু অল্পদিনের মধ্যেই এ উদ্যোগে ভাটা পড়ে। কাস্টমসের তথ্যমতে, বিগত কয়েকবছরে বিকল্প বিরোধ নিস্পত্তির জন্য একটি আবেদনও জমা পড়েনি।

এনিয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ-কমিশনার ব্যারিস্টার বদরুজ্জামান মুন্সী বলেন, এই অর্থবছরে এখন পর্যন্ত এ ধরনের মামলা এডিআরে কেউ আবেদন করেননি। এইচএস কোড সংক্রান্ত যে মামলা, এটি যেহেতু এডিআর এর বহির্ভুত, তাই আমদানি কারকরা এ ধরনের মামলা আসতে পারে না।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের হিসাবে, বর্তমানে আদালতে রাজস্ব সংক্রান্ত ৭ হাজারের বেশি মামলা চলমান। আপিল বিভাগ, আপিলাত ট্রাইব্যুনাল এবং আপিল কমিশনারেট মিলিয়ে এই সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি। রাজস্ব আটকে আছে প্রায় হাজার কোটি টাকা।

ব্যারিস্টার বদরুজ্জামান মুন্সী এ ব্যপারে বলেন, মামলাগুলো নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে আমরা আশা করি সরকার এ রাজস্বগুলো দ্রুত আদায় করতে সক্ষম হবে।

এদিকে, আমদানিকারকদের অভিযোগ, আদালতে ১৫ থেকে ২০ বছরের পুরনো অনেক মামলা নিস্পত্তি না হওয়ায় তাদের ব্যাংক জামানতও আটকে আছে।

ক্ষোভ জানিয়ে সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক গোলাম রব্বানী রিগ্যান বলেন, এটি চলমান ছিল, ব্যবসায়ীরাও লাভবান হচ্ছিল। কিন্তু কার ইঙ্গিতে এটি আর হলো না, তা আমি জানি না। এ ক্ষেত্রে আমি মনে করি শুল্ক কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ের অভাব আছে।

আমদানি পণ্যের শুল্কায়নের সময় শুল্ককরের পরিমাণসহ নানা কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে কাস্টমসের বিরুদ্ধে মামলা করেন আমদানিকারকরা।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply