সুদর্শন-ঝড়ে ফাইনালে চেন্নাইকে ২১৫ রানের লক্ষ্য দিলো গুজরাট

|

ছবি: সংগৃহীত

আইপিএলের ১৬তম আসরের ফাইনালে সাই সুদর্শনের ঝড়ো ফিফটিতে চেন্নাই সুপার কিংসকে ২১৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে গুজরাট টাইটান্স। তরুণ সুদর্শনের ৪৭ বলে ৯৬ রানের দুর্ধর্ষ ইনিংসের সাথে ঋদ্ধিমান সাহার ফিফটি ও শুবমান গিল-হার্দিক পান্ডিয়ার ক্যামিওতে ভর করে ৪ উইকেট হারিয়ে ২১৪ রান করে আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন গুজরাট।

প্রথমে ব্যাট করে আইপিএল ফাইনালের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ গড়েছে হার্দিক পান্ডিয়ার দল। তবে অপ্রাপ্তি বলতে কেবল থাকবে সাই সুদর্শনের সেঞ্চুরি বঞ্চিত হওয়া। ১৯.৩ ওভারে সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৪ রান দূরে থাকতেই মাথিশা পাথিরানার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন ২১ বছর বয়সী এই তরুণ। তবে তার আগেই যথেষ্ট ধংসযজ্ঞ চালিয়ে গেছেন এই বাঁহাতি। আইপিএলের এবারের আসরে অন্যতম সেরা ডেথ ওভার বোলার পাথিরানাকে আকাশ থেকে মাটিতে নামিয়ে এনেছেন সুদর্শন। পাথিরানার ১৪ বল মোকাবেলা করে ৩৪ রান করে ডেথ ওভারেও বড় সংগ্রহ নিশ্চিত করেন এই বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটার।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার দারুণ শুরু এনে দেন গুজরাটকে। আহমেদাবাদ স্টেডিয়ামে ৪২ বলে ৬৭ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন শুবমান গিল আর ঋদ্ধিমান সাহা। রবীন্দ্র জাদেজা বলে ধোনি শুবমান গিলকে স্ট্যাম্পিং করলে শেষ হয় এবারের আসরে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের ২০ বলে ৩৯ রানের ইনিংস।

২য় উইকেট জুটিতেও বড় সংগ্রহের ভিত গড়েন গুজরাটের ব্যাটাররা। সাই সুদর্শনকে সাথে নিয়ে ৪২ বলে এবার ৬৪ রান করেন ঋদ্ধিমান সাহা। দীপক চাহারের বলে মহেন্দ্র সিং ধোনির হাতে ধরা পড়ার আগে ৩৯ বলে সাহা করেন ৫৪ রান।

এরপর আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন সাই সুদর্শন। ৩য় উইকেট জুটিতে ৩৩ বলে ৮১ রান তুলে দলের বড় সংগ্রহ নিশ্চিত করেন সুদর্শন আর হার্দিক পান্ডিয়া। ৬টি ছক্কা আর ৮টি চারের মারে ৪৭ বলে ৯৬ রান করেন সাই সুদর্শন; যা তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ রান।

সাথে অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার অপরাজিত ১২ বলে ২১ রানে ভর করে আইপিএলের ফাইনালে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে গুজরাট টাইটান্স। শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেট হারিয়ে ২১৪ রানে থামে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের ইনিংস। ডেভিড মিলার, রাহুল তেওয়াতিয়া ও বিজয় শংকরদের মতো হার্ড হিটারদের ব্যাট করতে নামতেই হয়নি। অবশ্য, চেন্নাইয়ের বিশাল ব্যাটিং অর্ডার যদি এই পাহাড়সম রানও অতিক্রম করে ফেলে তবে আফসোস হতে পারে শেষ ওভারে আবারও বেশি রান না হওয়া নিয়ে। সাই সুদর্শনের দাপটে প্রথম দুই বলেই দুইটি ওভার বাউন্ডারি পেয়ে যাওয়ার পরও শেষ ৪ বলে মাত্র ২ রান হওয়া নিয়ে আক্ষেপের সুযোগ থাকতে পারে। আর শেষ বলে রশিদ খানকে আউট করে মানসিকভাবে কিছুটা হলেও চাঙা থাকতে পারে এমএস ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস। তবে এবারের আইপিএল জিততে হলে রীতিমতো রেকর্ডই গড়তে হবে চারবারের চ্যাম্পিয়নদের।

/এ এইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply