কক্সবাজারে একের পর এক অপহরণ-হত্যা; স্থানীয়দের দাবি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা জড়িত

|

অপহরণ ও হত্যার শিকার ভুক্তভোগীর মরদেহ উদ্ধার।

আরিফুর রহমান সবুজ, কক্সবাজার:

একের পর এক অপহরণের ঘটনায় আতঙ্কে কক্সবাজারের মানুষ। বিশেষ করে মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত ৩ বন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যার পর আতঙ্ক বেড়েছে আরও। এ চক্রে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা জড়িত বলে সন্দেহ করছেন স্থানীয়রা। চক্রের সদস্য এবং গডফাদারদের গ্রেফতারের দাবিতে এবার মাঠে নেমেছেন তারা।

গত ২৮ এপ্রিল টেকনাফের রাজারছড়া এলাকায় বিয়ের পাত্রী দেখতে গিয়ে অপহৃত হয় তিন বন্ধু। পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে তাদের হত্যা করা হয়। এ ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে কক্সবাজারসহ পুরো দেশকে। এমন ঘটনা টেকনাফে ঘটছে প্রায়ই। অপহরণের পর স্বজনদের কাছে পাঠানো হয় নির্যাতনের ভিডিও, মুক্তিপণ না দিলে হত্যা করা হয় নির্মমভাবে।

অপহরণকারী চক্রের কবল থেকে রেহাই পাননি কৃষক, শিক্ষার্থী, শিশু-কিশোর এমনকি জেলেরা পর্যন্ত। টার্গেটে থাকেন ব্যবসায়ীরাও। বারবার এমন ঘটনায় ভয় আর আতঙ্কে স্থানীয়দের ঘুম হারাম। এসব ঘটনায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা জড়িত বলে সন্দেহ অনেকের।

এ নিয়ে রোহিঙ্গা প্রতিরোধ ও প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটি প্রতিষ্ঠাতা মাহমুদুল হক চৌধুরী বলেন, আমরা অত্যন্ত আতঙ্গে আছি। তাই সরকারের কাছে আমাদের দাবি, অতি দ্রুত উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে রোহিঙ্গাদের এ অপতৎপরতা বন্ধ করা হোক।

এদিকে, ক’দিন পরপর এসব ঘটনা ঘটলেও পুলিশের হিসাবে গত পাঁচ মাসে টেকনাফে অপহরণের মামলা হয়েছে মাত্র ৯টি। এসব ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ১৪ জনকে।

কক্সবাজার পুলিশ সুপার মাহফুজ ইসলাম জানান, অপহরণের সাথে জড়িত এমন ৪জনকে এখন আমাদের হেফাজতে আছে। তাদের মধ্যে একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে।

এ ব্যাপারে গোয়েন্দা তৎপরতা চলছে উল্লেখ করে র‍্যাব-১৫ অধিনায়ক সাইফুল ইসলাম সুমন বলেন, আশা করি খুব দ্রুত আমরা এই সিন্ডিকেটকে ধরতে সক্ষম হবো।

সর্বশেষ গত ২৪ মে র‍্যাবের হাতে ধরা পড়ে অপহরণকারী চক্রের দুজন। তাদের দেয়া তথ্যমতে উদ্ধার করা হয় তিন বন্ধুর গলিত মরদেহ।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply