আসামে ৩০ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে তোপের মুখে শিক্ষক

|

ভারতীয় গণমাধ্যম থেকে সংগৃহীত ছবি।

শৃঙ্খলা শেখাতে ৩০ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন আসামের মাজুলি জেলার এক স্কুল শিক্ষক। এ ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সেখানকার জেলা প্রশাসন। এদিকে, অভিভাবকদের দাবি, এ ঘটনার পর বাচ্চারা আর স্কুলে যেতে চাইছে না। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকালে স্কুলের মর্নিং অ্যাসেম্বলিতে এ ঘটনা ঘটান নিকি নামের ওই শিক্ষক।

এদিকে এ ঘটনার পর দেয়া এক বিবৃতিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটা শৃঙ্খলা শেখানোর একটা মেথড মাত্র। স্কুলের গাইডলাইন অমান্য করে বড় চুল রেখেছিলো ওই শিক্ষার্থীরা। এর আগেও বেশ কয়েকবার তাদেরকে এ ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। এমনকি জানানো হয়েছিলো তাদের অভিভাবকদেরও। কিন্তু, তারাও কোনো পদক্ষেপ নেননি।


যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।

শুক্রবার (২৬ মে) সন্ধ্যায় মাজুলির জেলা প্রশাসক কাভেরি বি. শার্মা গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দিয়েছি। প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, ওই শিক্ষক চুলের কিছু অংশ ছেটে দিয়েছেন মাত্র, ট্রিম করেননি।

তদন্ত কমিটি জানিয়েছে, স্কুল ক্যাম্পাসে শিক্ষকদের দ্বারা শিক্ষার্থীদের চুল ছাঁটা বা ট্রিম করার বিষয়ে প্রাদেশিক সরকারের কোনো অনুমোদন নেই। অন্য উপায়েও এসব পরিস্থিতি সামাল দেয়া যেতে পারে। ওইদিন আসলে কী কী ঘটেছিল আমরা সেটাই জানার চেষ্টা করছি।

এদিকে, নিকি নামের অভিযুক্ত ওই শিক্ষক জানান, আমি শুধুমাত্র স্কুল কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পালন করেছি।

চুল হারানো এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক গণমাধ্যমকে জানান, বৃহস্পতিবার আমার সন্তান যখন বাসায় ফেরে তখন দেখি যে মাথার সামনের কিছু অংশের চুল ট্রিম করে কেটে ফেলা হয়েছে। সে কাঁদতে কাঁদতে বাসায় ফিরেছে। এখন আর স্কুলে যেতে চাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের অবশ্যই সবসময় পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও ইউনিফর্মে থাকা উচিত। কিন্তু, অ্যাসেম্বলিতে স্কুলের সবার সামনে এভাবে চুল কেটে দেয়াটা নিঃসন্দেহে অপমানজনক।

প্রসঙ্গত, দুই সপ্তাহ আগে শিলচরের কাচার জেলার একটু স্কুলে সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের ওপর আরোপ করা হয়েছিলো অদ্ভুত এক নিয়ম। বলা হয়, স্কুল ক্যাম্পাসে ভুল করে নিজের মাতৃভাষায় কথা বললে ২৫০ রুপি জরিমানা করা হবে শিক্ষার্থীদের। রাজ্য জুড়ে ব্যাপক সমালোচনার পর ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি জানায়, আমরা শৃঙ্খলা শেখাতে চাইছি। অর্থ উপার্জন আমাদের উদ্দেশ্য না।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply