ঢাকায় ঢুকছে এলএসডির চেয়েও বেশি ক্ষতিকর মাদক এমডিএমএ

|

ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত ছবি।

আবদুল্লাহ তুহিন:

এলএসডির চেয়ও বহুগুণ ক্ষতিকর ভয়ঙ্কর মাদক ঢুকছে ঢাকায়। স্মৃতিশক্তি সম্পূর্ণ এলোমেলো করে দেয়ার জন্য অভিজাত এলাকার মাদকাশক্তদের পছন্দের শীর্ষে এই মারননেশা। বখে যাওয়া ধনীর সন্তান ও প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় দুঃস্প্রাপ্য এই মাদক ছড়িয়ে পরছে ঢাকাসহ সারা দেশে। মাদক সিন্ডিকেটের তালিকায় এক মন্ত্রীর এপিএসের স্বজনের নাম দেখে রীতিমত হতবাক মাদক নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা! অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য।

গত সোমবার (১৫ মে) মধ্যরাতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন এলাকার সড়কে অবস্থান নেয় মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের গোয়েন্দারা। তাদের পাতা জালে আটকা পড়ে ইব্রাহিম কিবরিয়া নামের এক যুবক। ইব্রাহীম নিজেকে পরিচয় দেয়, শিক্ষামন্ত্রী দিপুমনির এপিএস মফিজুর রহমানের শ্যালক বলে। থাকেনও তার সরকারী বাসায়। তাকে নিয়ে রাতেই অভিযান চালানো হয় সেখানে। এপিএস মফিজুর রহমানের উপস্থিতিতে তল্লাশী চালানো হয় বাসায়। সেখানে পাওয়া যায় এলএসডির চেয়েও বহুগুণ বেশি ক্ষতিকর মাদক ম্যাথালাইন ডি-অক্সি মেথাএমফিটামিন, যাকে সংক্ষেপে বলা হয় এমডিএমএ।

এর আগে, বিদেশ থেকে আসা একটি মাদকের চালানের সূত্র ধরে প্রথমে আটক করা হয় ফারদিন ও পরে আজরাফ আহমেদ অজিকে। আজরাফ ব্যন্ড শিল্পী শাফিন আহমেদের ছেলে। এ দুজনও এপিএস মফিজুর রহমানের শ্যালক ইব্রাহিম কিবরিয়ার ঘনিষ্ঠ। রাতেই তিনজনকে নেয়া হয় সদর দফতরে।

মঙ্গলবার (১৬ মে) সকালে সেখানে যান শিক্ষামন্ত্রীর এপিএস মফিজুর ও শাফিন আহমেদ। আর, কখনও মাদক সেবন না করা ও চিকিৎসা করানোর বিষয়ে প্রতিশ্রুতি ও মুচলেকা দিয়ে দিয়ে আটককৃতদের ছাড়িয়ে নিয়ে যান তারা

এর আগে, অধিদফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এপিএসের শ্যালক ইব্রাহীম ও শাফিনের ছেলে অজিকে ১০ গ্রাম গাঁজা রাখার দায়ে জরিমানা করেন। তবে একই সময়ে আটক ফারদিনের বিরুদ্ধে এলএসডি চোরাচালানের অভিযোগে পল্টন থানায় মামলা করে কারাগারে পাঠানো হয়।

এদিকে, বাসা থেকে ভয়ঙ্কর মাদক উদ্ধারের বিষয়ে জানতে সংসদ আবাসিক এলাকায় শিক্ষা মন্ত্রী দিপু মনির এপিএস মফিজুর রহমানের বাসায় গেলে, তাৎক্ষণিক এ ব্যাপারে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply