ভালো থাকুক সব মায়েরা

|

প্রতি বছরের মে মাসের দ্বিতীয় রোববার, এ দিনটি বিশেষ, দিনটি কৃতজ্ঞতার, দিনটি ভালোবাসার। আজ সেই রোববার, তারিখ ১৪ মে। বিশ্বের সব মায়েদের জানাই ভালোবাসা। অবশ্য মায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করার নির্দিষ্ট কোনো দিন নেই। মায়ের ভালোবাসা অসীম ও অফুরন্ত। তবে ১৯০৮ সালে দিনটিকে মায়েদের জন্য উৎসর্গ করা হয়। সেই থেকে প্রতি বছরের মে মাসের দ্বিতীয় রোববার সারাবিশ্বে পালিত হয় মা দিবস।

মোটা দাগে গত শতাব্দীর শুরু দিকে মায়েদের জন্য বিশেষ একটি দিন পালনের ধারণার সূত্রপাত হয়। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার এক স্কুলশিক্ষিকা অ্যানা জারভিস সেখানকার পারিবারিক বিচ্ছিন্নতা দেখে মর্মাহত হয়ে মায়ের জন্য বিশেষ দিন পালনের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করার কথা ভাবলেন। তার সে ভাবনা বাস্তবায়নের আগে ১৯০৫ সালের ৯ মে তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর পর মেয়ে অ্যানা এম জারভিস মায়ের শেষ ইচ্ছা পূরণের উদ্দেশ্যে কাজ শুরু করেন। বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে ১৯০৮ সালে তার মা ফিলাডেলফিয়ার যে গির্জায় উপাসনা করতেন, সেখানে সব মাকে নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মা দিবসের সূচনা করেন। ১৯১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আনুষ্ঠানিকভাবে মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারকে মায়েদের জন্য উত্সর্গ করে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা করা হয়।

মাকে নিয়ে আজ পর্যন্ত লেখা হয়েছে শত সহস্র কবিতা, গান; নির্মিত হয়েছে বহু সিনেমা-নাটক। সেই গানে ব্যক্তি মা যেমন রয়েছে, তেমনি দেশকে মা সম্বোধন করেও লেখা হয়েছে গান, কবিতা। বাংলা সাহিত্যে মাকে নিয়ে লেখা বিখ্যাত কয়েকটি কবিতা রয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘মনে পড়া’, শামসুর রাহমানের ‘কখনো আমার মাকে’, হুমায়ুন আজাদের ‘আমাদের মা’, আল মাহমুদের ‘নোলক’, কালিদাস এর ‘মাতৃভক্তি’ উল্লেখযোগ্য। এসব রচনার মধ্য দিয়ে বাংলার মায়েদের অপার ভালোবাসা উঠে এসেছে।


যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।

সারা বিশ্বে মা দিবস পালিত হয় বিভিন্নভাবে। বাংলাদেশেও ব্যক্তি পার্যায়ে পালিত হয় মা দিবস। এ দিন মায়ের সাথে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের ছবি শেয়ার করে ভালোবাসা প্রকাশ করেন অনেকে। মাকে ফুল ও বিভিন্ন উপহার দিয়েও অনেকে দিনটিকে আরও বিশেষ করে তোলেন। অনেকে মাকে সাথে নিয়ে ঘুরতেও বের হন এদিন। এভাবে আপনিও পালন করতে পারেন বিশ্ব মা দিবস।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply