যুক্তরাষ্ট্রকে আর পারমাণবিক সক্ষমতার তথ্য দেবে না রাশিয়া, হামলার শঙ্কা আরও জোরালো

|

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পারমাণবিক হামলার শঙ্কা দিন দিন আরও বেড়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে মস্কোর রাস্তায় বিলবোর্ডে প্রচারিত কিছু সচেতনতামূলক ভিডিওর দিকে নজর আটকে গেছে বিশ্ববাসীর। বিলবোর্ডে প্রচারিত ভিডিওতে পারমাণবিক হামলা হলে কী করতে হবে সে বিষয়ে সাধারণ জনগণকে নানা নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। এ ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর পারমাণবিক হামলার বিষয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়ে বিশ্ববাসী। তবে এবার এ হামলার আশঙ্কা আরও জোরালো হয়ে দাঁড়িয়েছে রাশিয়ার একটি ঘোষণায়। খবর আল জাজিরার।

বুধবার (২৯ মার্চ) রুশ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রকে পারমাণবিক অস্ত্র ও সক্ষমতা বিষয়ক সব তথ্য দেয়া বন্ধ করেছে রাশিয়া। আর এর ফলে যেকোনো মুহূর্তে পরীক্ষা চালানোর পাশাপাশি হামলাও চালাতে পারে মস্কো, এমন শঙ্কা করছে পশ্চিমারা।

বিষয়টি নিয়ে রুশ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ বলেন, গত মাসে রাশিয়া নিউ স্টার্ট চুক্তি স্থগিত করেছে। তারই অংশ হিসেবে এবার পারমাণবিক সক্ষমতা সংক্রান্ত তথ্যের লেনদেন বন্ধ করা হলো। ওয়াশিংটকে পরমাণু অস্ত্র, পরীক্ষা, মহড়া, সক্ষমতা সংক্রান্ত কোনো ধরনের তথ্যই আর দেবে না মস্কো। যুক্তরাষ্ট্র যে ব্যবস্থাই গ্রহণ করুক না কেনো, চুক্তির স্থগিতাদেশ থেকে সরবেন না প্রেসিডেন্ট পুতিন।

বেশ কিছু দিন ধরেই রাশিয়া ও ইউক্রেনের ফ্রন্ট লাইন যুদ্ধ আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। এরই মধ্যে মহড়ার জন্য আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘ইয়ার্স’ মাঠে নামিয়েছে রাশিয়া। এই ক্ষেপণাস্ত্র ১২ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এমনকি একাধিক নিউক্লিয়ার ওয়্যারহেডও বহন করতে পারে এটি। মহড়া ঘিরে সাইবেরিয়া অঞ্চলে পৌঁছেছেন ৩ হাজার সেনা, তিন শতাধিক ছোট-বড় অস্ত্র ও সমরযান। আর এরপরই মূলত যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পারমাণবিক তথ্য লেনদেনের আনুষ্ঠানিকতা বন্ধের ঘোষণা দেয় মস্কো।

এদিকে, পারমাণবিক হামলার শঙ্কা যখন আরও ঘনীভূত, তখনও পশ্চিমাদের নিরবতা দেখে তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি। তিনি বলেন, আগ্রাসনের তুলনায় রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিমাণ অনেক কম। দখলদারদের উদ্দেশ্য যতোটা শক্তিশালী, ততোটাই দুর্বল রুশ ধনকুবেরদের ওপর বৈশ্বিক চাপ। ইউক্রেনীয় সেনাদের হাতে সহায়তা পৌঁছানোর আগে সন্ত্রাসীরা অস্ত্র পাচ্ছে। এমনটা চলতে থাকলে, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ষড়যন্ত্রকারীরাই সাফল্য পাবে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

এর আগে, গত সোমবার জার্মানির তরফ থেকে ১৮টি লেপার্ড-টু, ব্রিটেনের চ্যালেঞ্জার ট্যাংকসহ মার্কিন সাঁজোয়া যান হাতে পায় ইউক্রেন। এরই মধ্যে সমরযানগুলোর সক্ষমতা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে সেনাবহর।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply