এ ঘটনা আমাদের আরও অন্ধকারের দিকে নিয়ে গেলো: মোস্তফা সরয়ার ফারুকী

|

প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের, পত্রিকাটির নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে গ্রেফতার ও একই আইনে মামলা করার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) এ নিয়ে দুটি স্ট্যাটাস আপলোড করে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। তার মতে, সাংবাদিক গ্রেফতারের এ ঘটনা আমাদের আরও অন্ধকারের দিকে নিয়ে গেলো।

সরয়ার ফারুকী লিখেছেন, যে বা যারা প্রথম আলোর সাংবাদিক এবং সম্পাদকের বিরুদ্ধে জিনিসটা মামলা পর্যন্ত নিয়ে গেলেন, জেনে রাখবেন এটা আমাদেরকে আরও অন্ধকারের দিকে নিয়ে গেল। আমি ঐ খবরটা নিয়ে আলোচনায় আর না যাই। কারণ অনেক কথা ইতোমধ্যেই হইছে। শুধু এইটুকু বলি, সংবাদ নিয়ে যেকেউ সংক্ষুব্ধ হইতে পারেন। সেটা ডিল করার অনেক রাস্তাও আছে। সব বাদ দিয়ে যে রাস্তাটা বেছে নেয়া হলো, এটা দেশের জন্য ভয়ংকর।

পরিচালক আরও লেখেন, সরকারের পিআর অ্যাংগেল থেকেও যদি বলি, এই রিঅ্যাকশনের মাধ্যমে ‘চাইল-ডাইল-মাংসের স্বাধীনতা চাই’ শ্লোগানটার মধ্যে আরও কয়েক হাজার গুণ বেশি শক্তি ইনজেক্ট করা হলো। আশা করবো শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এবং এই অতি উৎসাহের রাশ টেনে ধরা হবে।

এই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল করারও আহ্বান জানান সরওয়ার ফারুকী। লেখেন, আমি সব সময় এই কথাটা বলি, ভাইয়েরা এবং বোনেরা আমার, আইন করার সময় এই জিনিসটা মাথায় রাখবেন যে আইনটা আপনার বিরুদ্ধে প্রয়োগ হলে আপনার অবস্থাটা কী হবে। মানে আপনি যখন ক্ষমতায় থাকবেন না, তখন এই আইন আপনার কাছে কীভাবে ফিরে আসবে। এটা মাথায় রেখে যে আইন করা হয় সেটাই তুলনামূলক উত্তম আইন। কারণ মনে রাখবেন ‘চিরদিন কারো নাহি যায় সমান’! পৃথিবীতে আজীবন থাকে এই রকম কোনো সরকার আসে নাই এখনও।

একটা স্বাস্থ্যকর সমাজে প্রেসের ভুল করার স্বাধীনতা থাকতে হবে। যদিও ছবি উলটপালট করা ছাড়া প্রথম আলোর রিপোর্টে ভুলটা কী আমি এখনও বুঝি নাই। রাস্তা ঘাটে মানুষতো বলতেছে, জিনিসপত্রের দাম বাড়াতে তাদের নাভিশ্বাস উঠছে। এমনকি স্বয়ং মন্ত্রীরাও বলছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দাম বেড়ে গেছে। তো এই কথাটা কেনো এতো কড়া রিঅ্যাকশন ইনভাইট করলো আমি বুঝলাম না। কিন্তু যদি প্রেস ভুলও করে তার রিঅ্যাকশন এইরকম রিপ্রেসিভ হতে পারে না। কেনো পারে না সেটা জানতে গুগল করলে এই বিষয়ে অনেক ক্লাসিক লেখা পেয়ে যাবেন। যাই হোক, শেষ করি একটা কথা দিয়ে। সমাজে প্রশ্ন করার জায়গা থাকতে হবে। দ্বিমত করার জায়গা থাকতে হবে।

পরে আরও একটি স্ট্যাটাস লিখে তিনি বলেন, স্বাধীনতাকে প্রশ্ন করতে পারার নামই স্বাধীনতা।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply