ফেসবুকের পাসওয়ার্ড চাচ্ছেন সঙ্গী?

|

প্রিয়জন কিংবা সঙ্গীর কাছে কিছু দাবি থাকবে এটা খুব স্বাভাবিক। অনেক সময় অনেকেই এমন কিছু আবদার করে বসেন যা সঙ্গীকে বিব্রত অবস্থায় ফেলে দেয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, অনেকেই সঙ্গীর কাছে তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাসওয়ার্ড চান। এতে সঙ্গী যেমন বিব্রত হন, তেমনি বিশ্বাসের ঘাটতিও বাড়ে।

ভারতীয় মনোবিদদের মতে, আসলে প্রেমের সম্পর্কে অনেক রকম রসায়ন কাজ করে। বিশেষ করে ‘পুরুষতান্ত্রিক’ সমাজে এখনো অনেক পুরুষই তাদের স্ত্রী কিংবা প্রেমিকাকে তার অধীনস্থ মনে করেন। ভাবেন তাদের কোনো ব্যক্তিগত চাওয়াপাওয়া, নিজস্ব পরিসর থাকতে পারে না। তার পোশাক-আশাক হোক কিংবা কোনো বন্ধুর সঙ্গে তার প্রেমিকা বা স্ত্রী মেলামেশা করবেন- সব কিছুতেই কর্তৃত্ব করে তারা এক ধরনের আনন্দ পান। শুধু পুরুষই নন, অনেক নারীও একইভাবে সঙ্গীর পাসওয়ার্ড জানার দাবি করেন। এটা হলো এক ধরনের অনিশ্চয়তা। বলা ভালো, আত্মবিশ্বাসের অভাব। নিজের সম্পর্কে, নিজেদের প্রেম কিংবা দাম্পত্য জীবনের রসায়ন সম্পর্কে কোনো বিশ্বাস না থাকলে মনে সন্দেহপ্রবণতা জন্মায়। কারও মনে যদি এ রকম ইচ্ছা জন্মায় তাহলে বুঝতে হবে সম্পর্কে কোথাও একটা অবিশ্বাস তৈরি হচ্ছে। একবার পাসওয়ার্ড পাওয়া মানে, আপনার ইচ্ছা করবে সঙ্গীর আরও গোপনীয়তা লঙ্ঘন করি। তখন সঙ্গীর ফোন-ফেসবুক সমস্তটাই দেখতে ইচ্ছে করবে। শুধু তাই নয়, সব সময় নজরদারি চালানোর প্রবণতাও তৈরি হবে। সম্পর্কে এমন মনোভাব রাখা মোটেই কাম্য নয়।

সম্পর্কে জড়িয়েছেন বলেই আপনার কিছুই ব্যক্তিগত থাকতে পারে না কিংবা আপনার সঙ্গীর সব বিষয় আপনাকে জানতেই হবে- এই ধারণাটা থেকেও বেরিয়ে আসার সময় এসেছে। সে আপনার সবচেয়ে আপন। কিন্তু তার কোনো নিজস্ব জগত নেই, এমন ভাবাটা আপনার পছন্দের মানুষের প্রতি অন্যায়। তার থেকে অনেক সহজ সঙ্গীর প্রতি বিশ্বাস রাখা। আপনি নিজে চাইলে একশ’ বার সঙ্গীর সঙ্গে সবটা ভাগ করে নিতেই পারেন। ভেবে দেখুন তো, সঙ্গীর প্রতি বিশ্বাস, শ্রদ্ধা, ভালোবাসাটা বড় নাকি পাসওয়ার্ড জানতে চেয়ে সম্পর্ক ঠুনকো করে ফেলা, কোনটা বেশি জরুরি আপনার কাছে?
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply