লক্ষ্মীপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীসহ ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

|

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :

লক্ষ্মীপুরে স্ত্রী আয়েশা আক্তার লিপি (২৬) হত্যা মামলায় স্বামী হারুন ও তার সহযোগী সোহেলকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশও দেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ দায় দেন। এ সময় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় নৈশপ্রহরী নুর মোহাম্মদ ও সোহেল নামে দুই আসামিকে মামলা থেকে বেকসুল খালাস দেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত সোহেল আদালতে উপস্থিত থাকলেও পলাতক রয়েছেন নিহতের স্বামী হারুন।

দণ্ডপ্রাপ্ত হারুন কমলনগর উপজেলার চর কালকিনি ইউনিয়নের নুর মোহাম্মদের ছেলে এবং নিহত আয়েশা আক্তার লিপির স্বামী। অপর দণ্ডপ্রাপ্ত সোহেল সদর উপজেলার চরভূতা গ্রামের সিরাজ আনসারির ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৯ নভেম্বর দুপুরে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের চর মনসা বিলস্থ সুতার গোপটা এলাকার তালগাছ তলা সংলগ্ন একটি ড্রেনে অজ্ঞাতনামা এক নারীর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে লক্ষ্মীপুর সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়। তবে প্রাথমিকভাবে শ্বাসরোধে হত্যার ধারণা করে ওইদিনই পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জাহাঙ্গির আলম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে এ মামলায় সোহেল ও হারুন নামে দুই যুবককে অভিযুক্ত করে ২০১৭ সালের ১১ এপ্রিল পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

এদিকে অজ্ঞাতনামা নারীর মৃতদেহ উদ্ধারের খবরে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহন এলাকার নিলুপা আক্তার ও তার স্বামী আসলাম মিয়া লক্ষ্মীপুর সদর থানায় গিয়ে নিহতের ছবি দেখে তাদের মেয়ে আয়েশা আক্তার বলে শনাক্ত করেন। পরে এ ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্য নিহতের মা নিলুপা আক্তার আদালতে আবেদন করেন। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে পুনঃতদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৮ সালের ২১ আগস্ট নিহতের স্বামী হারুনসহ চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানিতে ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।

লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply