শিক্ষার্থীর কান-মুখ দৃশ্যমান রাখতে ঢাবি বাংলা বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ

|

হাইকোর্ট।

শিক্ষার্থীদের পরিচয় শনাক্তে পরীক্ষা ও প্রেজেন্টেশন চলাকালে কানসহ মুখ দৃশ্যমান রাখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের দেওয়া বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

গত ১১ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যানের দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলা বিভাগের সব শিক্ষার্থীকে জানানো যাচ্ছে যে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বাংলা বিভাগের একাডেমিক কমিটি সর্বসম্মতভাবে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী বাংলা বিভাগের প্রতি ব্যাচের সংযোগ ক্লাস (টিউটোরিয়াল/ প্রেজেন্টেশন), মিডটার্ম পরীক্ষা, চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীকে পরিচয় শনাক্ত করার জন্য কানসহ মুখমণ্ডল পরীক্ষা চলাকালীন দৃশ্যমান রাখতে হবে।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ সিদ্ধান্ত প্রতিটি ক্লাসে শিক্ষকরা ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের অবহিত করেছেন। কিন্তু লক্ষ করা যাচ্ছে যে, কোনো কোনো শিক্ষার্থী এই সিদ্ধান্ত পালনে শৈথিল্য দেখাচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়- ১৮ সেপ্টেম্বর গৃহীত সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে যারা পালন করবে না তাদের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ।হয়। রিটে শিক্ষা সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, রেজিসট্রার ও বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়।

পরে আইনজীবী মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ বলেন, কান ও মুখ খোলা রাখতে হবে; এটা যারা পর্দা করেন তাদের জন্য ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিপন্থি। সে প্রেক্ষিতে এ রিট আবেদনটি করা হয়েছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply