রাত দশটার পর থাকতে পারবে না অতিথি; অদ্ভুত নিয়মে ক্ষিপ্ত বেঙ্গালুরু!

|

প্রতীকী ছবি

বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় বসবাসের ক্ষেত্রে প্রায়ই দেখা যায় সোসাইটির বাসিন্দা ও ভাড়াটিয়াদের জন্য নতুন নতুন নিয়ম প্রবর্তন করতে। সম্প্রতি এমনই এক নিয়ম প্রবর্তনের পর তোলপাড় চলছে বেঙ্গালুরুতে। বলা হয়েছে, রাত দশটার পর কোনো নারী ও পুরুষ ব্যাচেলরদের ঘরে কোনো অতিথি থাকতে পারবেন না! খবর এনডিটিভির।

সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর কুন্দনহালি গেট এলাকার একটি আবাসিক এলাকায় এমনই এক অদ্ভুত নিয়ম আরোপ করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই বইছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রেড্ডিটে ছড়িয়ে পড়া ওই নির্দেশনার একটি ছবিতে দেখা গেছে, রাত দশটার পর ব্যাচেলরদের (নারী-পুরুষ উভয়) ঘরে বা ফ্ল্যাটে কোনো অতিথি অবস্থান করতে পারবেন না। এমনকি কোনো অতিথিই রাতে অবস্থান করতে পারবেন না। আর যদি থাকতেই হয় তাহলে, অতিথির আইডি কার্ডের কপিসহ বাড়ির মালিক বা রেসিডেন্ট ওয়েলফেয়ার সোসাইটিকে আগেই ইমেইলের মাধ্যমে সব তথ্য জানাতে হবে। নারী-পুরুষ উভয় ধরনের ব্যাচেলরদের এ নিয়ম কঠোরভাবে মানতে হবে, হেলাফেলার কোনো সুযোগ নেই। অন্যথায়, ১০০০ রুপি জরিমানা করা হবে।

ওই পোস্টে সেখানকার আরও কিছু অদ্ভুত নিয়ম দেখা গেছে। যেমন- রাত ১০টার পর জোরে মিউজিক বাজানো বা ফোনে কথা বলার জন্য করিডোর ও ব্যালকনি ব্যবহার করা যাবে না।

ওই হাউজিং সোসাইটিতে বসবাসরত এক বাসিন্দা জানান, এখানকার পুরুষ ব্যাচেলররা প্রতিবেশী কোনো নারীর ফ্ল্যাটে গেছেন কিনা, সেটির খোঁজ নিলেও ঠিক ছিল, কিন্তু আমাদের এখানকার গার্ডরা ব্যাচেলর মেয়েদের বাসায় সার্চ করতে আসে কোনো পুরুষ আছেন কিনা সেটি দেখতে। এটা ঘোরতর অন্যায়! যারা উচ্চস্বরে ফোনে কথা বলেন তাদের শোধরানো উচিত। কিন্তু, তাদের জন্য সব ব্যাচেলরকে কষ্ট দেয়ার কোনো মানে হয় না।

সেখানকার আরেক বাসিন্দা জানান, এখানকার অবস্থা হোস্টেলের থেকেও খারাপ। চুক্তি অনুযায়ী আপনি যখন ভাড়া নেন তখন এটা আপনার নিজের বাসা হিসেবেই গণ্য হয়। আপনার বাসায় কে আসবে বা আপনি কখন বারান্দায় যাবেন সেটি একান্তই আপনার ব্যাপার। আমি বুঝি না কেনো এমন অদ্ভুত সব আইন তৈরি করে এখানকার সোসাইটিগুলো!

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply