নেত্রকোণায় স্বাধীনতা দিবসে ফুল দিতে গিয়ে বিএনপির ৭ নেতাকর্মী আটক

|

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, নেত্রকোণা:

নেত্রকোণার দুর্গাপুরে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবসে বিএনপি শ্রদ্ধ জানাতে যাওয়ার সময় পুলিশের বাধার সম্মুখীন হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে নেতাদের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে ও বিএনপির সাতজন নেতাকে আটক করে।

রোববার (২৬ মার্চ) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে পৌর শহরের কাচারী মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আটক হওয়া নেতারা হলেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইমাম হোসেন আবু চান, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আতাউর রহমান, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আবু সিদ্দিক ও গাঁওকান্দিদয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলম, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য মইনুল হাসান, আরমান হোসেন, রফিকুল ইসলাম ও আরিফুল ইসলাম।

পুলিশ ও স্থানীয় বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মহান স্বাধীনতা দিবসে ব্যানার নিয়ে র‌্যালি করে শহীদ মিনারে ফুল দিতে যাওয়ার সময় পুলিশের সাথে কথা কাটাকাটি হয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ সময় ৭ বিএনপির নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আলম ভূইয়া জানান, আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে আমরা উপজেলার কাচারী মোড় থেকে ব্যানার নিয়ে শহীদব্যাধীতে ফুল দিতে চাইলে পুলিশ ব্যানার নিতে বাধা দেয়। পরে আমরা সেখান থেকে স্থান ত্যাগ করার সময় পুলিশ ছাত্রদল-যুবদল নেতা-কর্মীদের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ অল্পক্ষণের মধ্যেই আমাদের ওপর ধাওয়া দিয়ে হামলা করে ও গুলি ছোড়ে। এ সময় আমাদের ৭ জন নেতা-কর্মীদের আটক করে। এ ঘটনায় শিশির নামে এক ছাত্রদল কর্মী আহত হয়েছেন।

ঘটনার নিন্দা জানিয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. আনোয়ারুল হক ও সদস্য সচিব মো. রফিকুল ইসলাম হিলালী মুঠোফোনে বলেন, আমাদের দলীয় নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে শহীদদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জনাতে রওনা হন। কিন্তু পুলিশ তাদের বাধা দিয়ে গুলি ছুড়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। বিএনপির চারজন নেতাকে আটক করে।

ওই দুই নেতা আরও বলেন, এর আগেও একুশে ফেব্রুয়ারিতে ফুল দিতে গেলে জেলা বিএনপিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ও পুলিশ বাধা দেয়। সরকার বিএনপিকে দমন করতে এখন রাষ্ট্রযন্ত্র পুলিশকে ব্যবহার করছে। কিন্তু এভাবে বিএনপিকে দমন করা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তারা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম পুলিশের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পুলিশ কখনো বিএনপিকে শ্রদ্ধা জানতে বাধা দেয়নি। এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। বরং বিএনপির লোকজন তাদের দলীয় কার্যালয়ে জড়ো হয়ে সহিংস পরিবেশ সৃষ্টি করে। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের ওপর তারা ইটপাটকেল ছুড়ে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়া হয়। আর পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে বিএনপির ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply