পেলেকে স্মরণ করার রাতে ব্রাজিলের হার; মরক্কোর ইতিহাস

|

ছবি: সংগৃহীত

কিংবদন্তি পেলের মৃত্যুর পর এই প্রথম ব্রাজিলের মাঠে নামা। ম্যাচের শুরুতে পেলেকে স্মরণ আর প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জার্সির পেছনে ছিল ফুটবল-রাজার নাম। কিন্তু এ সব উপলক্ষের কোনোটিই যে সেলেসাওদের উদ্দীপ্ত করতে পারেনি। নতুন রূপের ব্রাজিল দলকে ২-১ গোলে হারিয়েছে কাতার বিশ্বকাপে চমক দেখানো মরক্কো। সেই সাথে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের প্রথমবারের মতো হারানোর স্বাদ পেয়েছে আফ্রিকার দলটি।

ব্রাজিলের সাথে এই ম্যাচের আগে ২ বার মুখোমুখি হয়েছিল মরক্কো। যেখানে জয় তো দূরের কথা সেলেসাওদের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা পর্যন্ত করতে পারেনি আফ্রিকার দেশটি। ১৯৯৭ সালে ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে মরক্কোকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল ব্রাজিল। এর এক বছর পর ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে ফের মুখোমুখি হয়েছিল দু’দল। সেবার দেখায়ও মরক্কোকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল সেলেসাওরা। কিন্তু এরপর ২৫ টি বছর পেরিয়ে গেলেও আর কোনো ম্যাচ খেলেনি দু’দল। তবে তৃতীয়বারের দেখায় অসাধ্য সাধন করেছে রেগরাগির শিষ্যরা।

ছবি: সংগৃহীত

এদিকে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায়ের পর এটি ছিল ব্রাজিলের প্রথম ম্যাচ। সেলেসাওদের ছয় বছর ডাগআউটে দায়িত্ব পালন করা তিতের বিদায় আর চোটে আক্রান্ত নেইমার ও থিয়াগো সিলভা বিহীন ব্রাজিলের শুরুর একাদশ ছিল তারুণ্যেভরা। চোটের জন্য বাইরে থাকা নেইমারের অভাব তারা অনুভব করেছে প্রবলভাবেই।

স্বাগতিক দর্শকদের ২৯ মিনিটে আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দেন ফরোয়ার্ড সোফিয়ান বাউফল। সতীর্থ বিলাল খানৌসের অ্যাসিস্টে বাঁ প্রান্ত থেকে নেয়া শট লক্ষ্যভেদ করে মরক্কোকে লিড এনে দেন তিনি। প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়ায় কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। গোল শোধে মরিয়া হয়ে উঠে ক্যাসিমিরো-ভিনিরা। ৪১ মিনিটের মাথায় ভিনিসিয়াস জুনিয়রের শট পোস্টের সামান্য উপর দিয়ে বেরিয়ে গেলে বিরতির আগে সেলেসাওরা সমতায় ফিরতে পারেনি।

ছবি: সংগৃহীত

ব্রাজিলকে গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয় ম্যাচের ৬৭ মিনিট পর্যন্ত। ক্যাসিমিরোর দূর পাল্লার শট নাগালে থাকলেও তা আটকাতে ব্যর্থ হন মরক্কোর গোলরক্ষক। সমতায় ফেরে ব্রাজিল। সমতার পর মরক্কোর আক্রমণ আরও গতি পায়। সেই ধারায় ৭৯ মিনিটে চলে আসে সেই কাঙ্ক্ষিত গোল। ওয়ালিদ ছেদদিরার কাছ থেকে বল পেয়ে ব্রাজিলের জালে শেষ পেরেক ঠুকে দেন সাবিরি। গোলরক্ষক ওয়েভারটনের দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না। ম্যাচের বাকি সময়ে আর গোল করতে পারেনি ব্রাজিল। ভারপ্রাপ্ত কোচ মেনেজেসের প্রথম ম্যাচটা শেষ হয় হতাশায়।

ছবি: সংগৃহীত

গত বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালিস্ট মরক্কোর সময়টা ভালো কাটছিল না। আফ্রিকার দ্বিতীয় দল হিসেবে ব্রাজিলের বিপক্ষে দারুণ জয়ে বাজে সময় পেছনে ফেলার আভাস দিল রেগরাগির দল। সেই সাথে মরকোর ফুটবল ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ব্রাজিলকে হারানোর মধুর স্মৃতি স্থাপন করলো হাকিমি-জিয়াশরা।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply