পুতিনকে গ্রেফতারের হুমকিতে পালটা হুমকি মস্কোর

|

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে গ্রেফতার করা হলে, সেটি হবে ‘যুদ্ধের শামিল’। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) এ মন্তব্য করেন রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের উপ-প্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভ। হুমকি দেন, জার্মানি সফরের সময় আই সিসি’র গ্রেফতারি পরোয়ানা বাস্তবায়িত হলে, বিন্দুমাত্র ছাড় পাবে না ঐ দেশ। এদিকে, শত্রুপক্ষকে পরাস্ত করতে, মিত্রদের কাছে দূরপাল্লার মিসাইল ও যুদ্ধবিমান চেয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট। খবর এপির।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে সরগরম আন্তর্জাতিক মহল। ইউক্রেন থেকে জোরপূর্বক শিশুদের রাশিয়ায় স্থানান্তর করা হচ্ছে এমন এ অভিযোগ এনেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইসিসি। তারপরই, জার্মানি জানিয়েছে, দেশটি সফরে গেলে, গ্রেফতার হবেন পুতিন। ক্ষোভ চাপা রাখতে পারেনি মস্কো, উগড়ে দিচ্ছে সর্বসম্মুখে।

রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের উপ-প্রধান বলেন, জার্মান আইনমন্ত্রীর মতো নিরেট মূর্খ কিছু মানুষের ধারণা, ভ্লাদিমির পুতিন বার্লিন সফরে গেলেই তাকে গ্রেফতার করা হবে। কোনোভাবেই ঘটনাটি বাস্তবে কার্যকর হবে না। একমুহূর্তের জন্য যদি ভেবেও নেই, রুশ প্রেসিডেন্ট জার্মানিতে গ্রেফতার হয়েছেন। তাহলে সেটা সরাসরি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা। মিসাইল-গোলাবারুদ ছুটে যাবে পার্লামেন্ট আর চ্যান্সেলর অফিসে।

এদিকে, দু’দিন যুদ্ধবিধ্বস্ত খারকিভ ও খেরসন অঞ্চল পরিদর্শন করেন জেলেনস্কি বলেন, খেরসন অঞ্চলে ৫০টির বেশি গ্রাম ধ্বংস হয়ে গেছে। ধূলিসাৎ ৯০ ভাগ ঘরবাড়ি-স্থাপনা। পশ্চিমা শক্তিকে বলবো, শিগগিরই যুদ্ধ বন্ধের জন্য চাপ প্রয়োগ করবেন না। বরং দূরপাল্লার অস্ত্র আর আধুনিক যুদ্ধবিমান দিন। শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলি। মিত্রদের বলবো, রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন ও জোরালো নিষেধাজ্ঞা দিন।

অপরদিকে পুতিনের মিত্র ওয়াগনার গ্রুপের দাবি, কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বাখমুতের ৭০ শতাংশ বর্তমানে তাদের দখলে। যেকোনো মুহূর্তে ঘটবে পতন। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও সত্যিকার চিত্র অস্বীকারও করছে না ইউক্রেন।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply