ভাস্কর শামীম সিকদারের প্রতি সহকর্মী ও শিক্ষার্থীদের শ্রদ্ধা নিবেদন

|

একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাস্কর শামীম সিকদারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও শিক্ষার্থীরা।

শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বুধবার (২২ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে তার মরদেহ নেয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায়। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা। ছিলেন শামীম সিকদারের সহকর্মীসহ চারুকলার শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, শামীম সিকদার বেঁচে থাকবেন নিজ কর্মে। তার অনবদ্য সব কর্ম নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে।

এরপর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তার মরদেহ নেয়া হবে মোহাম্মদপুরে। সেখানেই বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে। তবে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শামীম সিকদারের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে থাকে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। তারা এখনও শামীম সিকদারের পরিবারকে নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। সেখানেই সারারাত রাখা হয় তার মরদেহ। এরপর শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ আনা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায়। সেখানেই দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চারুকলার ভাস্কর্য বিভাগের সামনে রাখা হয়। সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এ কে আজাদ চৌধুরীসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, শামীম সিকদারের সহকর্মী, স্বজন এবং নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ তাকে শ্রদ্ধা জানান। এরপর তার মরদেহ নেয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে। সেখানে বাদ জোহর অনুষ্ঠিত হবে তার জানাজা।

সিরাজ সিকদারের বোন শামীম সিকদারের বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন তিনি। তারা দুজনই যুক্তরাজ্য প্রবাসী। আশির দশকে চারুকলা ইনস্টিটিউটে শিক্ষকতা শুরু করেছিলেন শামীম সিকদার। ১৯৮৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির পাশে স্বোপার্জিত স্বাধীনতা ভাস্কর্যটি তৈরি করেন শামীম সিকদার। জগন্নাথ হলের সামনে স্বাধীনতা সংগ্রাম ভাস্কর্যটিও তারই করা। অসাধারণ নানা কর্মের জন্য ২০০০ সালে একুশে পদক পান এই গুণী ভাস্কর।

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply