সাড়ে ৩ কোটির লটারি জিতেই ২০ বছরের সংসার ভেঙে প্রেমিককে বিয়ে!

|

বিয়ের ২০ বছর পর হঠাৎ সাড়ে ৩ কোটি টাকার লটারি জিতেই স্বামীকে ফোন করে জানান, তার সঙ্গে আর থাকতে চান না। তারপর তার প্রেমিককে বিয়ে করে নিয়েছেন ওই নারী। এই অবস্থায় স্বামী নারেন আদালতের শরণাপন্ন হয়ে স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে থাইল্যান্ডে। খবর টাইম নাউ নিউজের।

খবরে বলা হয়, লটারিতে ১ কোটি ২০ লক্ষ বাথ (বাংলাদেশি মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় ৩ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা) জিতেছিলেন নারেনের স্ত্রী। তবে সে কথা একেবারেই নারেনকে জানতে দেননি। লটারি জিতেই নারেনকে ছেড়ে বিয়ে করেন প্রেমিককে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০ বছর আগে চাউইওয়ানকে বিয়ে করেন নারেন। দম্পতির তিনটি মেয়েও আছে। স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার পর নারেন চাউইওয়ানের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। কিন্তু চাউইওয়ান আবার পুলিশকে জানান, লটারি জেতার অনেক আগেই নারেনের সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। তারপরেই তিনি এক পুলিশ অফিসারকে বিয়ে করেন।

নারেন জানান, আমাদের ওপর অনেক বেশি ঋণের বোঝা হয়ে গিয়েছিল। তাই ২০১৪ সালে সপরিবারে দক্ষিণ কোরিয়ায় চলে যাই। কয়েক বছর পর স্ত্রী আর বাচ্চাদের নিয়ে থাইল্যান্ডে ফিরে আসি। আমি আবার তাদের বাড়িতে রেখে কোরিয়া চলে যায়। প্রতি মাসে স্ত্রীকে সংসার খরচের জন্য ৩০ হাজার বাথ (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯৩ হাজার টাকা) পাঠাতাম। এক দিন মেয়ের কাছ থেকে জানতে পারি, চাউইওয়ান বড় অঙ্কের লটারি জিতেছে। তবে আমাকে তা জানায়নি ও। আমি ওর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও সে আমার সঙ্গে কথা বলতো না। ৩ মার্চ আমি থাইল্যান্ডে ফিরি। তখন জানতে পারি ও আবার বিয়ে করেছে। আমি বিষয়টি জেনে খুবই হতাশ হয়ে পড়ি। আমার ব্যাংকে মাত্র ৬ লাখ বাথ (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ১৮ লক্ষ টাকা) আছে। আমি প্রতি মাসে সংসার খরচ দিতাম। আমার প্রাপ্য টাকা ফেরত পেতে চাই।

নারেন ও চাউইওয়ানের আইনি মতে বিয়ে হয়নি। নারেনের উকিল অবশ্য জানিয়েছেন, তাদের পরিবারের লোকজন তাদের বিয়ের বিষয়টি জানতেন, তাই তার টাকা পাওয়ার অধিকার আছে। চাউইওয়ান নারেনের বিরুদ্ধে পাল্টা মানহানির মামলা দায়ের করেছেন।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply