অঘোষিত পরিবহন ধর্মঘটে অচল মাদারীপুর, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা

|

স্টাফ রিপোর্টার, মাদারীপুর:

নৌপরিবহন মন্ত্রী ও শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি শাজাহান খানের নিজ জেলা মাদরীপুরেও চলছে তৃতীয় দিনের মতো অঘোষিত পরিবহন ধর্মঘট। শনিবার সকাল থেকে অভ্যন্তরীণ রুটসহ দূরপাল্লার সকল পরিবহন বন্ধ রেখে সড়কে অবস্থান করেছে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা।

রিক্সা, অটোভ্যানসহ হালকা যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে অভ্যন্তরীণ রুটসহ অন্য পরিবহন বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়ে সাধারণ যাত্রীরা।

পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা বলছেন, দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের সম্পৃক্ত না থাকা সত্ত্বেও তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন। তারপরও মন্ত্রী শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ক্ষমাও চেয়েছেন। তারপরও তৃতীয় কোন শক্তির কারণে ঢাকাতে পরিবহন খাতে অরাজকতা সৃষ্টি করা হয়েছে।

এসব কারণেই অনির্দিষ্টকালের জন্যে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত পরিবহন বন্ধ থাকারও হুমকি দেন মালিক-শ্রমিকরা। তবে অচিরেই এসব সমস্যার সমাধান হবে বলে দাবী করেন শ্রমিকরা।

চুয়াডাঙ্গা

এদিকে চুয়াডাঙ্গা থেকে ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার পরিবহনে ঝিনাইদহে বাধার মুখে পড়ার প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গা জেলা মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট তৃতীয় দিনের মতো চলছে। গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এ ধর্মঘট শুরু হয়। ধর্মঘটের তৃতীয় দিন শনিবারও দূরপাল্লাসহ জেলার অভ্যন্তরীণ রুটে কোন ধরনের যাত্রীবাহী যানবাহন ছেড়ে যায়নি।

বাস বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা। জেলা মোটর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ নেতা এ নাসির জোয়ার্দ্দার জানান, সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গা থেকে ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার বিভিন্ন কোচ, ঝিনাইদহ জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির নেতাকর্মীরা স্বাভাবিক চলাচলে বাধা প্রদান করে আসছে। এরই প্রতিবাদে তাদের এ আন্দোলন। তবে দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে কঠোর কর্মসূচীর হুশিয়ার দেন তিনি।

মেহেরপুরে দ্বিতীয় দিনের মতো বাস চলাচল বন্ধ

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ তুলে মেহেরপুরে দ্বিতীয় দিনের মত দূরপাল্লা ও আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। গতকাল রাতে হজযাত্রীদের নিয়ে দু-একটি দুরপাল্লার বাস ছেড়ে গেলেও আজ শনিবার সকাল থেকে কোন বাস ছাড়েনি শ্রমিকরা।

হঠাৎ করে বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। অনেকেই বাস স্ট্যান্ডে এসে গন্তব্যে না যেতে পেরে ফিরে যাচ্ছেন। তবে শ্রমিকরা বলছেন নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এ ধর্মঘট চলবে।

যমুনা অনলাইন: কেআর


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply