১০ উইকেটের জয়ে সিরিজে সমতা অস্ট্রেলিয়ার; ২য় একদিনের ম্যাচে রেকর্ড হারের লজ্জা ভারতের

|

ছবি: সংগৃহীত

বিশাখাপত্তমে ভারতকে নিয়ে রীতিমত ছিনিমিনি খেললো অস্ট্রেলিয়া। স্বাগতিকদের ১১৭ রানে অলআউট করে মিচেল মার্শ আর ট্রেভিস হেডের ঝড়ো অর্ধশতকে ১১ ওভারেই খেলা শেষ করে দেয় অজিরা। ১০ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে সিরিজে ১-১’র সমতা ফিরিয়ে আনে সফররতরা। যা ওয়ানডে’তে ভারতের ১০ উইকেটের পাশাপাশি ২৩৪ বল বাকী থাকার সবচেয়ে বড় পরাজয়। এর আগে ২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ উইকেটে হারলেও সেখানে বল বাকি ছিলো ২১২টি।

প্রথম ইনিংস দেখে যে কারোই মনে হতে পারে এই পিচে ব্যাট করা দূরূহ। আগে ব্যাট করে ২৬ ওভারে গুটিয়ে যাওয়া ভারতকে দেখে সবার ধারণা সেরকম হলেও, ইনিংস বিরতির ব্যবধানে যেনো পালটে যায় পিচের আচরণ। অস্ট্রেলিয়া প্রথমে ব্যাট করলে হয়তো রেকর্ড রানের দেখা মিলতো আজ বিশাখাপত্তমে।

ছবি: সংগৃহীত

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ম্যাচের পথেই হাটে টিম ইন্ডিয়া। কোনো রান করার আগেই স্টার্কের বলে লাবুশানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শুভমান গিল। এরপর একে একে নিয়মিত অধিনায়ক রোহিত শর্মা, সুরিয়াকুমার যাদব আর লোকেশ রাহুলকে উইকেটের চার পাশে ক্যাচে পরিণত করেন এই অজি বোলার। প্রথম ৪ উইকেটের সবক’টি নিজে নিয়ে এই বাঁহাতি স্পিডস্টার ধস নামান টিম ইন্ডিয়ার ইনিংসে। শেষে মোহাম্মদ সিরাজকেও সাজঘরে ফেরান স্টার্ক। ৮ ওভারে ৫৩ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট লাভ করেন এই পেসার।

ভিরাট কোহলি তখনও ক্রিজে থাকলেও হতাশ করেন সমর্থকদের। স্টার্কের সাথে উইকেট নেবার প্রতিযোগিতায় নামেন শন অ্যাবট আর নাথান এলিসও। ফলে কোনো ভারতীয় ব্যাটারই সফল হতে পারেননি। গোটা ইনিংসে মাত্র ৪ ব্যাটার পার করেছেন দুই অংকের কোটা। শেষ দিকে আক্সার প্যাটেলের অপরাজিত ২৯ বলে ২৯ রানে ভর করে তিন অংকের ঘরে পৌঁছায় ভারত। অপর প্রান্তে কেউ যোগ্য সঙ্গ না দিতে পারায় মাত্র ২৬ ওভারে ১১৭ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। যা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতের সর্বনিম্ন রানে অলআউট হবার রেকর্ড।

ছবি: সংগৃহীত

১১৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আবারও বিধ্বংসী ব্যাটিং শুরু করেন মিচেল মার্শ। প্রথম ওভার কিছুটা দেখে শুরু করার পর ২য় ওভার থেকে নিজের সহজাত ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী শুরু করেন এই অজি ওপেনার। মোহাম্মদ শামী আর মোহাম্মদ সিরাজের করা প্রথম ৬ ওভারে ৬৬ রান তুলে একদিনের ম্যাচটিকে উপহাসের জায়গায় নিয়ে আসেন। ৮ম ওভারেই অর্ধশতক তুলে নেন মার্শ। ২৮ বলে ছয় মেরে হাফ-সেঞ্চুরি করে ৫৪ রানের মধ্যে হাঁকিয়েছেন ৫টি চার আর ৫টি ছক্কা। মাঝে দৌড়ে নিয়েছেন মাত্র ৪ রান।

১১৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার পর সতীর্থ অর্ধশতক করে ফেললে অপর ব্যাটারের পঞ্চাশ রানের মাইলফলক স্পর্শ করা খুবই কঠিন। কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে ব্যাট চালিয়েছেন ট্রাভিস হেডও। মার্শের থেকে এক বল বেশি খেলে পার করেছেন অর্ধশতক।

হেডের হাফ-সেঞ্চুরির পর আর অপেক্ষা করেননি মার্শ। ১১তম ওভারের শেষ বলে পয়েন্ট দিয়ে বল সীমানা পার করে দলের ১০ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেন। সিরিজ নির্ধারনী শেষ একদিনের ম্যাচটি ২২ মার্চ বুধবার অনুষ্ঠিত হবে চেন্নাইতে।

/এ এইচ/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply