ক্ষমতার জোরে ভোট ছাড়াই বিতর্কিত আইন পাস, বিক্ষোভে উত্তাল ফ্রান্স

|

ফ্রান্সে ‘অবসরের বয়সসীমা’ বৃদ্ধির বির্তকিত আইন পাসের পর থেকেই দফায় দফায় চলছে বিক্ষোভ-সহিংসতা। শনিবার (১৮ মার্চ) রাতেও তৃতীয় দিনের মতো ব্যাপক সংঘাত হয় প্যারিসসহ অন্যান্য শহরে। খবর ডয়েচে ভেলের।

শনিবার বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষোভকারীরা গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো অবরোধের পর অগ্নিসংযোগ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে তারা গড়ে তোলে পাল্টা প্রতিরোধ। উভয়পক্ষের সংঘাতে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়। এ সময় পরিস্থিতি মোকাবেলায় টিয়ার গ্যাস ছোড়ার পাশাপাশি ধরপাকড় চালায় নিরাপত্তা বাহিনী।

পার্লামেন্টে বেশ কয়েকবার প্রস্তাবটি তুললেও, সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের অভাবে সেটি পাস করানো যায়নি। অবশেষে বৃহস্পতিবার ভোটাভুটি এড়াতে সংবিধানের দ্বারস্ত হন প্রধানমন্ত্রী ইমানুয়েল ম্যাকরন। নির্দেশ দেন, ৪৯ নম্বর অনুচ্ছেদের তৃতীয় ধারা অনুসারে আইন পাস করতে এমপিদের ভোটের কোনো প্রয়োজন নেই।

সাতে সাথেই এই সিদ্ধান্তকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেন বিরোধীরা। একইসাথে প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল ম্যাকরনকে ক্ষমতা থেকে হঠাতে অভিশংসন প্রস্তাবও তোলেন তারা। আর এরই মাধ্যমে ফ্রান্সে ‘পেনশন সংস্কার কর্মসূচি’র আওতায় অবসরের বয়সসীমা ৬২ থেকে ৬৪ বছর বৃদ্ধি করলো সরকার।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply