সহপাঠীর ফোনে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ; একদিন পর মিললো স্কুলছাত্রের মরদেহ

|

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

গাইবান্ধার সদর উপজেলায় নিখোঁজের একদিন পর ঘাসের জমি থেকে জিসান মিয়া (১৫) নামের এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সহপাঠী রেজওয়ানের মোবাইল ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় জিসান। মুখ ও নাকে রক্তে থাকলেও জিসানের শরীরে কোনো আঘাত নেই। তবে শ্বাসরোধে জিসানকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের।

শনিবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে সদরের কুপতলা ইউনিয়নের দুগাপুর গ্রামের ঘাঘট নদীর পাশের একটি ঘাসের জমিতে তার মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।

১৫ বছরের কিশোর জিসান সদর উপজেলার সাহাপাড়া ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর (পশ্চিম পাড়া) গ্রামের ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলামের ছেলে। জিসান বিষপুর গ্রামের এডভান্স স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।

নিহতের স্বজনরা জানায়, শুক্রবার সারাদিন বাড়ির পাশে মামার বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিল জিসান। বিকেলে সহপাঠী রেজওয়ান মোবাইল ফোন করে ডাকলে জিসান বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর রেজওয়ান, নাহিদ ও সাগরসহ কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে জিসানকে স্থানীয় বাজারসহ স্কুলমাঠে ঘুরতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে রাতে সে আর বাড়িতে ফিরে যায়নি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান মেলেনি। শনিবার সকালে জিসানের নিখোঁজের ঘটনা পুলিশকে জানানো হয়। কিন্তু বিকেলে মরদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে তাকে শনাক্ত করা হয়।

জিসানকে হত্যা পরিকল্পিত দাবি স্বজনদের। তবে জিসানকে সহপাঠীরা ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে নাকি অন্য কেউ তাকে হত্যা করেছে তা অজানা তাদের। এই হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার এবং তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্বজনরা।

জিসানের নানা কালাম মিয়া বলেন, ফোন করে জিসানকে বন্ধু রেজওয়ানের ডেকে নিয়ে যাওয়া এবং তাদের ঘোরাফেরার বিষয়টি সন্দেহজনক। জিসানের সঙ্গে কারও কোনো বিরোধ ছিল না। বন্ধু রেজওয়ান, নাহিদ ও সাগর একই গ্রামের। তাদের সঙ্গে কোনো বিরোধের জেরে হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। জড়িতদের গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদ করলে রহস্য উদঘাটন হবে বলে তিনি দাবি করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার (ওসি) মো. মাসুদার রহমান বলেন, স্থানীয়দের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘাসের জমি থেকে স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত জিসানের শরীরে আঘাত ছিল না। তবে মুখ ও নাকে রক্ত ছিলো। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply