রাবিতে বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে মাইকিং

|

সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।

রাজশাহী ব্যুরো:

স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে দুদিন বন্ধের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস ও পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে, উপচার্যের সাথে বৈঠকের পর আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীদের কয়েকটি সংগঠন। আর, বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে মাইকিং হয়েছে ক্যাম্পাসে।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকালে প্রতিটি বিভাগের পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়। সেই সাথে স্বাভাবিক হয়েছে প্রশাসনিক কার্যক্রম। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আহত ৩ শিক্ষার্থীর চোখের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়া হয়েছে। এখনও চিকিৎসাধীন আছেন ৯ জন।

গত কয়েকদিনের উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির পর ঘোষণা মোতাবেক সোমবার (১৩ মার্চ) সকালে রাবির প্রতিটি বিভাগে নির্ধারিত সময়ে শুরু হয় ক্লাস ও পরীক্ষা। একইসাথে চলে প্রশাসনিক কার্যক্রম।

তবে এরমধ্যেই দাবি-দাওয়া নিয়ে বৈঠকে বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা। বৈঠকের পর জানানো হয়, শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রশাসনের সাথে আলোচনা শেষে প্রতিনিধি জানান, ৬টি দাবি পূরণের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করেছে তারা।

রাকসু আন্দোলন মঞ্চের আহ্বায়ক আবদুল মজিদ অন্তর বলেন, আমরা আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার নেয়ার কথা ছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। তারা সেটির নিশ্চয়তা দিয়েছেন। ৪ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এতে আমরা সন্তুষ্ট। হামলাকারীদের বিরুদ্ধেও আইনগতভাবে আগানো হচ্ছে। তারা যা যা বলেছেন আমরা সাধুবাদ জানিয়েছি।

এদিকে, হামলার ঘটনায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন। রাবির অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, দিনের পর দিন আমাদের শিক্ষার্থীরা এভাবে আক্রান্ত হবে এটা চলতে পারে না। অনেক স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা শিক্ষার্থীরা এভাবে আক্রান্ত হোক এটা কেউই চায় না। একজন অভিভাবক হিসেবে আমিও এমনটা চাই না।

যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে ক্যাম্পাস ও আশেপাশের এলাকায় পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। ক্যাম্পাসের পাঠদান পরিবেশ বজায় রাখতে বহিরাগতদের অনুপ্রবেশে আরোপ হয়েছে কড়াকড়ি। এ প্রসঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, তিনটা ছাত্র সংগঠন এসেছিল, আরও আসবে। শুধু কয়েকটি ছাত্র সংগঠন না আমরা আমাদের কিছু ছাত্রের সাথেও কথা বলেছি।

এরইমধ্যে, কাজ শুরু করেছে সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে গঠিত পাঁচ সদস্যের কমিটি। সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দেয়ার কথা রয়েছে।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply