পাই দিবস কীভাবে পাইলাম?

|

পাই দিবসে কাটা একটি কেক। ছবি : সংগৃহীত

আজ বিশ্ব পাই (π) দিবস। দিবসটি গাণিতিক ধ্রুবক পাই এর সম্মানে উদযাপনের দিন। পাই এর মান প্রায় ৩.১৪ বলে প্রতি বছরের তৃতীয় মাস মার্চের ১৪ তারিখ পাই দিবস হিসেবে পালিত হয়।

এছাড়া, দিবসটি আরও সুনির্দিষ্ট করতে কখনও কখনও ১৪ মার্চ দুপুর ১টা ৫৯ মিনিটে উদযাপন করা হয়। ওই দিন দুপুর ১টা ৫৯ মিনিটকে পাই মিনিট নামে আখ্যায়িত করা হয়। একইদিন দুপুর ১টা ৫৯ মিনিট ২৬ সেকেন্ডকে পাই সেকেন্ড বলা হয়। পাই সেকেন্ডে পাই দিবস পালনের মধ্য দিয়ে পাইয়ের মানের (৩.১৪১৫৯২৬) কাছাকাছি সময়ে দিবসটি উদযাপন করা সম্ভব হয়।

সানফ্রানসিসকোর একটি বিজ্ঞান জাদুঘরে ১৯৮৮ সালে প্রথমবারের মতো পাই দিবস পালিত হয়। জাদুঘরের বৃত্তাকার স্থানে কর্মচারী ও দর্শনার্থীরা মিলে কেক খেয়ে দিনটি উদযাপন করেন।

২০০৯ সালের ১২ মার্চ যুক্তরাষ্ট্র সরকার ১৪ মার্চকে জাতীয় পাই (π) দিবস হিসেবে পালনের অনুমোদন দেয়। তবে বাংলাদেশে পাই (π) দিবস উদযাপিত হচ্ছে ২০০৬ সাল থেকে। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির উদ্যোগে দেশে এই দিবস উদযাপন শুরু হয়।

ইউক্লিডীয় সমতলীয় জ্যামিতিতে বৃত্তের পরিধি ও ব্যাসের অনুপাতকে পাই (π) হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। উইলিয়াম জোনস সর্বপ্রথম ১৭০৬ সালে পাই প্রতীকটির প্রচলন করেন। তবে এ প্রতীকটিকে জনপ্রিয় করেন সুইস গণিতবিদ লিওনার্দো ইউলার। গণিত, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিদ্যার অনেক সূত্রে পাইয়ের ব্যবহার দেখা যায়। বর্তমানে কম্পিউটারের সাহায্যে π এর মান দশমিকের পর এক ট্রিলিয়ন পর্যন্ত বের করা সম্ভব হয়েছে।

π গ্রিক বর্ণমালার ষোলতম বর্ণ। গ্রিক শব্দ ‘περιφέρεια’ (যার অর্থ periphery) এবং ‘περίμετρος’(যার অর্থ perimeter‌) এর প্রথম বর্ণ হচ্ছে π। ধরা হয়ে থাকে পরিধি বা perimeter শব্দটি থেকেই π এর ব্যবহার হয়ে আসছে। এছাড়া, এটি ইউনিকোড অক্ষর U+03C0।

প্রসঙ্গত, পাই দিবসে আপেক্ষিকতার তত্ত্ব প্রদানকারী বিজ্ঞানী আইনস্টাইনেরও জন্মদিন।

এএআর/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply