কোটা সংস্কার: প্রজ্ঞাপনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

|

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা সরকারকে তিন দফা শর্ত দিয়ে অবিলম্বে কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন দিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন তারা। ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের দাবি থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

এ সময় শহীদ রমিজউদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীকে বাসচাপা দিয়ে মারার প্রতিবাদে মাথায় কালো কাপড় বাঁধেন শিক্ষার্থীরা। তাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতাও পালন করেন তারা।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক বলেন, ‘আমরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের যে ঘোষণা দিয়েছিলাম, তা তুলে নিলাম। আমাদের তিনটি শর্ত অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে। সেগুলো হচ্ছে, গ্রেপ্তারকৃত আন্দোলনকারীদের মুক্তি, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের বিচার এবং পাঁচ দফা দাবি মেনে নিয়ে অবিলম্বে কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন জারি করা।’

কোটা সংস্কারে কমিটি গঠন নিয়ে নুরুল হক বলেন, ‘প্রথমে ১৫ দিন, পরে ৯০ দিন সময় নিয়েছে সরকার। এটি মেনে নেওয়া যায় না। এর মাধ্যমে কোটা সংস্কার না করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’

‘আপাতত আমরা কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করছি না। তবে আমাদের কোনো ভাই বা বোনের গায়ে একটু আঁচড় লাগলে আমরা আবার কঠোর আন্দোলনে নামব’ বলেও ঘোষণা দেন তিনি।

সরকারি চাকরিতে বর্তমানে ৫৬ শতাংশ নিয়োগ হয় কোটায়। সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। আন্দোলনের একপর্যায়ে গত ৮ এপ্রিল ঢাকার শাহবাগে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ লাঠিপেটা করলে এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে মারলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ঘটনার পরদিন এই আন্দোলন সারা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন।

যমুনা অনলাইন: কেআর


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply