ফলের বাজারে অস্থিরতা, রমজানকে সামনে রেখে বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে দাম

|

সাইফুল ইসলাম:

পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে অস্থির হচ্ছে ফলের বাজার। কৌশলে বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে সব ধরনের ফলের দাম। মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে সামনে আনা হচ্ছে ডলারের উচ্চমূল্যকে। অবশ্য রোজার মাসে পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখার পরামর্শ দিয়েছে ক্যাব। ফলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাসজুড়ে তদারকি বাড়াবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এক্ষেত্রে নিয়মের ব্যত্যয় পেলে নেয়া হবে ব্যবস্থা।

দেশে বছরে যে ফলের চাহিদা, তার সিংহভাগই আমদানি নির্ভর। মূলত পাইকারি বাজার থেকেই খুচরা পর্যায় পৌছে যায় ফল। তবে, দুই পর্যায়ে দামের পার্থক্য ব্যাপক।

রোজাকে সামনে রেখে এরইমধ্যে বাড়তে শুরু করেছে ফলের দাম। খুচরা বাজারে লাল আপেলের কেজি এখন ৩৫০ টাকা। বছরের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ১০০ টাকারও বেশি। মাল্টা, কমলাসহ নাসপাতির দামও আকাশচুম্বী। তবে কিছুটা কম দামে বিক্রি হচ্ছে আঙ্গুর। দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে খুচরা এবং পাইকারি ব্যবসায়ীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

বাংলাদেশ ফ্রুটস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম এ প্রসঙ্গে বলেন, আগে সরকার যে ডিউটি ট্যাক্স দিতো তা এখন দ্বিগুণ। এ কারণেই দামটা বেড়ে গেছে। আন্তর্জাতিক বাজার হিসেবে ফলের দাম এখন একটু বেশি, এটা সত্যি। তবে যোগান দেয়া যাবে, ফলের অভাব নেই।

এদিকে ক্যাব বলছে, রোজার মাসে বাড়াতে হবে ফলের সরবরাহ। তা না হলে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি গোলাম রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, এটা খুবই ভাল কথা যে বিলাস পণ্যের দামের ওপর লাগাম টানা হচ্ছে। কিন্তু, রমজানে ফলের সরবরাহ ও দাম যেনো সন্তোষজনক-সহনীয় থাকে সেটা নিশ্চিত করা জরুরি বলে মনে করি।

রোজায় ফলের বাজার স্বাভাবিক রাখতে তদারকি বাড়াবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এক্ষেত্রে অন্যান্য সংস্থাদেরও কাজ করতে হবে। এ প্রসঙ্গে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, পণ্যের ঘাটতি নেই। পণ্য পাওয়া যাবে। কিন্তু, সবাই যদি একসাথে বাজার থেকে সব পণ্য কিনে ফেলি তাহলে বাজার অস্থিতিশীল হয়ে যাবে। আপনারা নিশ্চয়ই এর আগেও লক্ষ্য করেছেন যে ৮ বা ১০ রমজানের মধ্যেই সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যায়। আমাদেরকে একটু ধৈর্য্য ধরতে হবে। আমরা যদি এক সপ্তাহের বাঁজার একবারে করি তাহলে বাজারে হঠাৎ করে কোনো চাপ তৈরি হবে না বলে আমি মনে করি।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি সময়ে আমদানি হয়েছে ১৫৭ দশমিক ৩৮ মিলিয়ন ডলারের বিভিন্ন ফল। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৩৮ ভাগ কম।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply