‘আমার তো মুশকিল হলো হাসি’

|

নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান

হাসাও যাবে না। আমার তো মুশকিল হলো হাসি। এটা নাকি আবার ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ছে। দুর্ঘটনার পর হাসিমুখে মন্ত্রীর ব্রিফিং নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এমন মন্তব্য করেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী ও শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান। সোমবার সচিবালয়ে গণমাধ্যমকে তিনি জানান, যারা দুর্ঘটনার জন্য দায়ী তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হলে আমরা মালিক-শ্রমিকরা তার প্রতিবাদ করতে রাজি নই।

মন্ত্রী আরও বলেন, অনেকে আমার পদত্যাগ দাবি করছেন। আমি চলে গেলেই তো আর সমস্যার সমাধান হবে। আমি তো চলে যেতেই পারি। পদত্যাগ করলে সমস্যার সমাধান হবে না, বরং কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যায় সেজন্য কাজ করতে হবে।

এসময়, তার অধীনে দূর্ঘটনা কমেছে বলে দাবি করেছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী ও শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান।

তিনি বলেন, দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের শাস্তি শ্রমিক প্রতিনিধি হিসেবে তিনিও চান। তদন্তে পরিবহন কর্তৃপক্ষ ও চালক দুর্ঘটনায় জড়িত প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাতিল করা হবে জাবালে নূর পরিবহনের রুট পারমিট।

জাবালে নূর পরিবহনের মালিক তার আত্মীয়র কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা আমার জানা নেই। কোন বাসের মালিক কে এগুলো আমার জানা নেই।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে এ বিষয়ে তার কোনো কথা হয়নি বলেও দাবি করেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।

উল্লেখ্য, রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন বিমানবন্দর সড়কের বাম পাশে বাসের জন্য অপেক্ষা করার সময় জাবালে নূর পরিবহনের বাসের চাপায় রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। এ ঘটনার পর নৌ পরিবহন মন্ত্রী ও শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খানের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন অনেকে।

যমুনা অনলাইন: টিএফ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply