দাঁত ও মাড়ির সুস্থতায় যা করবেন

|

ছবি: সংগৃহীত

কথায় আছে দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম কেউ বোঝে না। কথাটি হালে কতটুকু সত্য তা গবেষণা সাপেক্ষ। তবে দাঁত যে শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের একটি তাতে কেউ দ্বিমত করবেন না। খাদ্য গ্রহণের জন্য কিংবা শারীরিক সৌন্দর্য ধরে রাখতে দাঁতের ভূমিকা অতি গুরুত্বপূর্ণ। তাই দাঁত ভালো রাখা চাই।

যদিও অনেকেই দাঁতের সমস্যায় ভোগেন। টুথব্রাশ, টুথপেস্ট কিংবা মাউথওয়াশ পাল্টেও মুক্তি পাচ্ছেন না। তারা আগেভাগেই নিতে পারেন প্রতিরোধ ব্যবস্থা। তবে শুধু দাঁত নয়, মুখের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে গেলে কিছু অভ্যাস মেনে চলতে হবে।

দিনে দু’বার দাঁত মাজা

দাঁত, মাড়ি ভাল রাখার আদি ও অকৃত্রিম পন্থা হল ঘুম থেকে উঠে এবং ঘুমাতে যাওয়ার আগে দাঁত মাজা। খাওয়ার পর খাবারের ছোট ছোট অংশ থেকে যায় দাঁতের খাঁজে। সেগুলো সারা দিন, সারা রাত মুখের মধ্যে থেকে পচে গেলে দাঁত এবং মাড়ি দুইয়েরই ক্ষতি করতে পারে। তাই চিকিৎসকরা বলেন, প্রতি বার খাওয়ার পর না হলেও সারা দিনে অন্তত পক্ষে দু’বার দাঁত মাজার চেষ্টা করতেই হবে।

ফ্লসিং

সরু সুতোর সাহায্যে দুটি দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা খাবার বের করে নেয়ার পদ্ধতিতেই বলা হয় ফ্লসিং। প্রতি বার খাওয়ার পর দাঁত মাজা সম্ভব না হলে, মুখ ধুয়ে নিয়ে করা যেতে পারে ফ্লস। এই পদ্ধতিতে দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা খাবারের টুকরো বেরিয়ে আসে সহজেই। তবে সকলে ফ্লসের পদ্ধতি সম্পর্কে অবহিত নন। সেক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করে বা চিকিৎসকের কাছ থেকে শিখে নেয়াই ভাল।

গার্গল করা

শুধু সর্দি বা কাশির জন্য নয়, মুখের ভিতরের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও গার্গল করা প্রয়োজন। বিশেষ করে মিষ্টিজাতীয় খাবার, ফলের রস বা ঠান্ডা নরম পানীয় খাওয়ার পর মুখের লালার পিএইচ-এর ভারসাম্য নষ্ট হয়। গার্গল করলে যা আবার আগের পর্যায়ে ফিরে আসে। মুখের ভিতরের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে গেলে অম্লভাব কাটাতে হবে। কারণ এই থেকেই দাঁতের ক্ষতি হয় বেশি।

তথ্যসূত্র: হেলথলাইন।

এএআর/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply