রাতে তুরস্কে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল

|

উদ্ধারকাজে অংশ নিতে ফায়ার সার্ভিসের এই দলটি আজ রাতে তুরস্কে রওনা হবে।

তুরস্কে সংঘটিত ভয়াবহ ভূমিকম্পে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকাজ পরিচালনার জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স থেকে তুরস্কে উদ্ধারকারী দল পাঠানো হচ্ছে।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো এক প্রেস রিলিজে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রেস রিলিজে জানানো হয়েছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সানুগ্রহ নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ প্রেরিত সম্মিলিত সাহায্যকারী দলের সাথে পাঠানোর জন্য ফায়ার সার্ভিসের ১২ সদস্যের এ উদ্ধারকারী দল প্রস্তুত করা হয়। এদের মধ্যে ১ জন উপপরিচালক, ২ জন সহকারী পরিচালক, ১ জন উপসহকারী পরিচালক, ১ জন সিনিয়র স্টেশন অফিসার, ১ জন লিডার এবং বাকি ৬ জন ফায়ারফাইটার।

এর আগে, গত সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) তুরস্কে সংঘটিত ভয়াবহ ভূমিকম্পের কারণে তুরস্ক সরকার কর্তৃক আন্তর্জাতিক সাহায্য চাওয়া হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে তুরস্কে একটি সম্মিলিত সাহায্যকারী দল পাঠানোর সানুগ্রহ নির্দেশনা প্রদান করেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন ১২ সদস্যের এ উদ্ধারকারী দল প্রস্তুত করেছেন। বিমানবাহিনীর সি-১৩০ বিমানযোগে বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় তারা তুরস্কের উদ্দেশে যাত্রা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স থেকে উদ্ধারকারী দলের সদস্য হিসেবে যারা যাচ্ছেন তারা ইন্টারন্যাশনাল সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ অ্যাডভাইজারি গ্রুপ (আইএনএসএআরএজি) এর স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী বিধ্বস্ত ভবনে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকাজ পরিচালনা বিষয়ে আন্তর্জাতিকমানের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক এক প্রতিক্রিয়ায় এ প্রসঙ্গে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সানুগ্রহ নির্দেশনায় সম্মিলিত উদ্ধারকারী দলের সাথে ফায়ার সার্ভিসকে অন্তর্ভুক্ত করায় আমরা সম্মানিত বোধ করছি। বর্তমান সরকারের সময়ে ২০১৫ সালে নেপালে সংঘটিত ভূমিকম্পে পর্যবেক্ষক হিসেবে ফায়ার সার্ভিসের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেছিলেন। তবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্ধারকাজ পরিচালনার জন্য ফায়ার সার্ভিসের ১২ সদস্যের উদ্ধারকারী দলের এটিই প্রথম বিদেশ গমন। বর্তমান সরকারের সময়ে ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা বৃদ্ধির ও পেশাদারিত্বের এটি একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। এটি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের জন্য একটি অভাবনীয় স্বীকৃতি। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রতিটি সদস্য এজন্য গর্বিত বোধ করছে। আমি বিশ্বাস করি, ফায়ার সার্ভিসের সকল সদস্য নিজের সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আস্থার প্রতিদান দেবেন।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply