দশটি বড় ভূমিকম্পের সাক্ষী হয়েছে চলতি শতক; প্রাণ হারিয়েছে লাখো মানুষ

|

ছবি: সংগৃহীত

ভয়াবহ প্রাণঘাতী সব ভূমিকম্পের সাক্ষী হয়েছে চলতি শতক। গেলো ২২ বছরে অন্তত দশটি বড় ভূকম্পন হয়েছে বিভিন্ন দেশে। কেড়ে নিয়েছে লাখো মানুষের প্রাণ। এর মধ্যে সবচেয়ে মর্মান্তিক ও প্রাণঘাতী দুর্যোগটি দেখেছে হাইতি। ২০১০ সালের সাত মাত্রার ওই ভূমিকম্পে আড়াই লাখের বেশি মানুষ মারা যায়। এছাড়া চীন, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল আর ইন্দোনেশিয়াও দেখেছে বিধ্বংসী ভূমিকম্প।

২০১০ সালের ১২ জানুয়ারি, ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে ক্যারিবিয়ান দেশ হাইতি। মাত্র ২০ সেকেন্ডের কম্পনেই গোটা দেশ হয়ে ওঠে মৃত্যুপুরী। প্রাণ হারায় আড়াই লাখ মানুষ। আর, গৃহহীন হয়ে পড়ে অন্তত ১৫ লাখ বাসিন্দা। গেলো ২২ বছরে হাইতির মতো আরও অন্তত দশটি ভয়াবহ প্রাণঘাতী ভূমিকম্প দেখেছে বিশ্ব। যাতে প্রাণ গেছে লাখ লাখ মানুষের। কয়েক মিলিয়ন মানুষ হয়েছে গৃহহীন।

ভূমিকম্প বিধ্বস্ত হাইতির চিত্র। ছবি: সংগৃহীত

চলতি শতকে প্রকৃতির এই বিপর্যয়ের সবচেয়ে বেশি ভয়াবহতা দেখেছে ইন্দোনেশিয়া। ভৌগোলিকভাবেই ভূমিকম্প প্রবণ দেশটিতে কয়েক দফায় নেমে আসে দুর্যোগ। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল ২০০৪ সালে দুর্যোগটি। ৯ দশমিক পাঁচ মাত্রার তীব্র কম্পনে প্রাণ হারান অন্তত দুই লাখ ২৬ হাজার মানুষ। বাস্তুচ্যুত হয় ২০ লাখের বেশি বাসিন্দা। পরবর্তীতে ২০০৬ ও ২০১৮ সালেও শক্তিশালী ভূমিকম্পের কবলে পড়ে দেশটি। যাতে যথাক্রমে ৫ ও চার হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়।

২০০৪ সালের ভূমিকম্পের পর ইন্দোনেশিয়া। ছবি: সংগৃহীত

ভূমিকম্পের কবলে বিভীষিকাময় সময় পার করেছে চীন ও পাকিস্তান। ২০০৫ সালে পাকিস্তানে ৭৩ হাজার এবং ২০০৮ সালে চীনের সিচুয়ান প্রদেশের ৭০ হাজার মানুষ মারা যায়।

২০১৫ সালে ভূমিকম্পের আরেকটি ভয়াবহতার সাক্ষী হয় নেপাল। দফায় দফায় কম্পনে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় দেশটির প্রাচীন সব স্থাপত্য নিদর্শন। প্রাণ ঝরে ৯ হাজারের বেশি।

এছাড়া, ২০০১ সালে ভারতের গুজরাটে ১৪ হাজার, ২০০৩ সালে ইরানে ৩১ হাজার এবং ২০১১ সালে জাপানে প্রায় ৬ হাজারের মানুষের প্রাণহানির কারণ হয় ভূমিকম্প।

আরও পড়ুন: ‘১৯ ঘণ্টা হয়ে গেছে, আমার দাদা-দাদী এখনও ধ্বংসস্তুপের নিচে’

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply