শিল্পীদের নানা ভাবনার মিশেল এবারের ঢাকা আর্ট সামিটে

|

শাকিল হাসান:

ধান মাড়াইয়ের পর পড়ে আছে খড়। পাশে অন্যান্য কৃষি উপকরন। এ রকম দৃশ্য আবহমান বাংলার কৃষকের উঠানের। তবে, ঢাকায় চার দেয়ালের মধ্যে দেখা মিলছে এমন দৃশ্যের। দেখে বোঝার উপায় নেই এটি প্রকৃত কোনো গ্রাম নয়।

শিল্পকলা একাডেমিতে বসা এবারের ঢাকা আর্ট সামিটে এই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। শিল্পকলার চিত্রশালায় তৈরি এই শিল্পকর্ম।

এবার ঢাকা আর্ট সামিটের প্রধান শিরোনাম হচ্ছে বন্যা। যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত লাখো মানুষ। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বন্যায় মানুষ হারায় জমি, ঘরবাড়ি। পাশাপাশি হারায় একান্ত কিছু স্মৃতি। বন্যার মতো দুর্যোগে মানুষের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় অন্যান্য প্রাণীও।

ঢাকা আর্ট সামিটে শিল্পীদের প্রদর্শনী।

নদীমাতৃক বাংলাদেশে বন্যা জমির উর্ববরতা বাড়ায়। আবার প্রলয়ংকারী বন্যা নদী ভাঙনের কারণ হয়। এসব বিষয় উঠে এসেছে এই সামিটে। রয়েছে শিল্পের সব ধরনের সমন্বয় রয়েছে। শিল্পীদের নানা ভাবনার মিশেল ঘটেছে তাতে।

শিল্পী সোমা সুরভী জান্নাত বলেন, সম্পর্কগুলোকে ভিন্নমাত্রায় দেখা শুরু করলে পৃথিবী কী রকম পরিবর্তন হতে পারে। কিংবা সম্পর্কগুলো কী ধরেনের হতে পারে। সে ভাবনাগুলোকে আঁকাআঁকির মাধ্যমে বর্ণনা করা হয়েছে।
প্রথমবারে মতো এই আয়োজনের শিরোনাম করা হয়েছে বাংলায়। এবারে ঢাকা আর্ট সামিটের মূল ভাবনায় রয়েছে জলবায়ু, পরিবেশ, নদী, ঋতু ও প্রকৃতি।

সামদানি আর্ট ফাউন্ডেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নাদিয়া সামদানি বলেন, কাজগুলো বিপর্যয়ের সাথে সম্পর্কিত। একেকটা বিভাগের কাজ একেক থিমে করা। তবে সবগুলো বন্যার সাথে সম্পর্কিত। একটা বিভাগ আছে, যেটি হলো বন্যা নামের একটা ছোট মেয়ের চোখে প্রদর্শনী দেখা।

ঢাকা আর্ট সামিটের ২০২৩ এর কিউরেটরের দায়িত্ব পালন করেছেন বিশ্বজিৎ গোস্বামী। সামদানি আর্ট ফাউন্ডেশন এবং বৃহৎ আর্ট ফাউন্ডেশনের যৌথ প্রযোজনায় আয়োজিত হচ্ছে এবারের ঢাকা আর্ট সামিট।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply