পুরুষের মূত্রথলির ক্যানসারের উপসর্গ

|

প্রতীকী ছবি।

নারীদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে মূত্রথলির ক্যানসারের প্রবণতা প্রায় ৪ গুণ বেশি। অন্যান্য রোগের মতো প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে এই রোগের বিস্তার রোধ করা যায়।

বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, বাইরের খাবার খাওয়া, শরীরের যত্ন না নেয়া এমন কিছু কারণে শরীরে বাসা বাধে কর্কট (ক্যানসার) রোগ। সেই সাথে ধূমপানের অভ্যাস তো আছেই। জীবনযাত্রার পরিবর্তনের ফলে বাড়ছে মূত্রথলির ক্যানসারের ঝুঁকি। যদিও ক্যানসার বয়সের তোয়াক্কা করে না। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ৫৫ বছর উত্তীর্ণদের মধ্যে মূত্রথলির ক্যানসার বেশি দেখা যায়।

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মূত্রথলির ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ার একটা সম্পর্ক রয়েছে। মূত্রথলির ক্যানসারের অন্যতম ঝুঁকি হলো ধূমপান। এছাড়া যাদের ক্রনিক প্রস্রাবের সংক্রমণ হয়, তাদের এই ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি।

কোন উপসর্গ দেখলে সতর্ক হবেন?
১। বারবার প্রস্রাব পাওয়া।
২। সারাদিনে বহুবার প্রস্রাবের বেগ আসে। কিন্তু প্রস্রাব হয় না, আটকে যায়।
৩। প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত দেখা যেতে পারে বা কালচে প্রস্রাব হতে পারে এবং জ্বালা করে।
৪। কোমরের একদিকে ব্যথা হতে পারে।

অনেকটা প্রস্টেটের রোগের মতোই উপসর্গ। বয়স্করা অনেক সময়ে এই ক্যানসারকে প্রস্টেটের সমস্যা ভেবে খুব একটা গুরুত্ব দেন না। এর ফলে রোগ ক্রমশ বেড়ে যায়। ক্যানসারের প্রাথমিক উপসর্গ সম্পর্কে সচেতন থাকলে রোগের শুরুতেই ডাক্তার দেখিয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করানো উচিত।

রোখ শুরুতে ধরা পড়লে সার্জারি, রেডিওথেরাপি ও কেমোথেরাপি করে মূত্রথলি ক্যানসার নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিছু ক্ষেত্রে মূত্রথলি সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে কৃত্রিম ‘ব্লাডার’ প্রতিস্থাপন করা হয়। তাই সময় থাকতেই সাবধান হওয়া উচিত।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
/এনবি/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply