পাবনার বিলগুলোয় জমেছে কচুরিপানা-আগাছা, উর্বর জমি পরিণত হয়েছে গো চারণ ভূমিতে

|

কয়েকটি বিল শুষ্ক মৌসুমে কচুরিপানা ও আগাছায় ভরে থাকায় বিপুল পরিমাণ জমি অনাবাদী পড়ে আছে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায়। গেলো ৭-৮ ধরে এসব জমিতে চাষাবাদ করতে পারেন না চাষীরা। উর্বর জমি পরিণত হয়েছে গবাদি পশুর চারণ ভূমিতে।

সাঁথিয়ার গ্যারকার বিলের একাংশে আবাদ হচ্ছে পেঁয়াজ, গম, সরিষাসহ বিভিন্ন ফসল। পেঁয়াজের ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত এ অঞ্চলে রয়েছে বেশ কয়েকটি বিল। এসব বিলের নিচু অংশের বিস্তীর্ন জমি শুষ্ক মৌসুমে অনাবাদী পড়ে থাকে। উর্বর জমি পরিণত হয়েছে পশুর চারণ ভূমিতে।

স্থানীয়রা জানালেন, গত ৭-৮ বছর ধরেই বর্ষার পানি নেমে গেলেও কচুরিপানা আর আগাছার কারণে চাষাবাদ করা যাচ্ছে না দেড় হাজার বিঘারও বেশি পরিমাণ জমিতে। কেউ কেউ কচুরিপানা ও আগাছা পরিস্কার করে চাষাবাদ করলেও, খরচ পোষাতে না পেরে আগ্রহ হারাচ্ছেন।

চাষীরা জানান, এক সময় খাদ্য সহায়তার বিনিময়ে শ্রমিকদের দিয়ে বিলের কচুরিপানা পরিষ্কার করাতো স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু এখন আর কেউ খোঁজও নেয় না।

আর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বলছেন, বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। পাবনার আর-আতাইকুলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, কৃষকদের তালিকা করে আমাদের এখানকার কৃষি অফিসারের সাথে আমরা যোগাযোগ করেছি।

আর, অনাবাদি জমির তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. সাইফুল আলম জানালেন, কচুরিপানা আমাদের এখানকার চাষাবাদের জন্য বেশ সমস্যার সৃষ্টি করেছে। কৃষকদের তালিকা করা হয়েছে এবং এ তালিকা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে সহযোগিতা পেলে আমাদের এই সমস্যার সমাধান হবে আশা করছি।

প্রসঙ্গত, পানি নিষ্কাশনের সুষ্ঠু ব্যবস্থা করলে বর্ষার পানির সাথে কচুরিপানাও নেমে যাবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।

/এসএইচ



সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply