দখল-দূষণে নদী হারাচ্ছে স্বাভাবিক গতিপথ, জটিলতা রয়েছে পানি বণ্টন নিয়েও

|

পানিশূন্য তিস্তা নদী। ছবি : সংগৃহীত

আহমেদ রেজা:

দখল-দূষণে নদী হারাচ্ছে তার স্বাভাবিক গতিপথ। হারাচ্ছে অস্তিত্ব। দেশের প্রায় সাড়ে সাতশো নদীই রয়েছে কোনো না কোনো সংকটে। এছাড়া বাংলাদেশের অভিন্ন নদীগুলোর পানির বণ্টনের ন্যায্য হিস্যা নিয়েও আছে নানা জটিলতা।

ভারতের সাথে কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন চুক্তির বাস্তবায়ন শুরু হয়নি এখনও। পাশাপাশি জটিলতা রয়েছে অন্যান্য অভিন্ন নদী নিয়েও। এ অবস্থায় নদীর প্রবহমানতা ও তীরবর্তী মানুষের জীবন ও জীবিকা বাঁচাতে আলোচনার তাগিদ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনে।

নদী রক্সের এক্টিভিস্ট শারমিন সুলতানা সুমি বলেন, ইতোমধ্যে অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। এখন আমরা যার যার জায়গা থেকে যদি সচেতন হই; নিজেদের দায়িত্বটুকু পালন করি; তাহলে সবার একটু একটু কন্টিবিউশনে হয়ত সব ফেরত আনতে পারব না; তবে নদীগুলো বাঁচাতে পারবো।

ভারতের নদী গবেষক জয়ন্ত বসু বলেন, দুই দেশ মিলে তিস্তা থেকে যে জল প্রয়োজন তার ১৭ ভাগের একভাগ জল আছে, বাকিটা নেই। কারণ, চাষের ধরণ পাল্টে গেছে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক প্রফেসর ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, এ বিষয়টিকে আরও বড় আকারে দেখা দরকার। এটা যদি ভূখণ্ডের বিষয় হিসেবে দেখে যে, আমি আমার বর্ডারেই রাখবো অন্য বর্ডারে দেখবো না, তাহলে হবে না। বরং নদীকে আমাদের নদী হিসেবে দেখা উচিৎ।

একশন এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবীর বলেন, আরও অন্যান্য যে নদীগুলো আছে সেখানেও আমাদের কাজ শুরু করা উচিৎ। আমরা শুধু বড় নদীর দিকে তাকিয়ে থাকি। যেমন এখন তিস্তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু এর মধ্যে সাড়ে সাতশো নদীর দেশে আরও ছোট ছোট নদী আছে। আমরা জানি আমাদের ৫৭টি ট্রান্স বাউন্ডারি নদী আছে। চলুন সেগুলো নিয়েও কাজ করি।

গতবছর ভারতের সাথে হওয়া কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন চুক্তির বাস্তবায়ন শুরু হয়নি এখনও। এটিসহ ভারতের সাথে অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টন আলোচনার তাগিদ দেন বিশেষজ্ঞরা। পানির ন্যায্য হিস্যা বুঝে পেলে নদী নির্ভর জনগোষ্ঠীর ভোগান্তি নিরসন ও আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পেতো বলেও মনে করেন তারা।

এএআর/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply