চিড়িয়াখানা বন্ধের দাবিতে রাজধানীতে অ্যান্টি জ্যু মুভমেন্ট অব বাংলাদেশ’র কর্মসূচি

|

‘সেভ দ্য নেচার অব বাংলাদেশ’ নামের সংগঠনের আয়োজনে চিড়িয়াখানা বন্ধের দাবিতে রাজধানীতে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেছে চিড়িয়াখানা বন্ধের দাবিতে সম্মিলিত আন্দোলন ‘অ্যান্টি জ্যু মুভমেন্ট অব বাংলাদেশ’। 

শুক্রবার (৩ ফেব্রয়ারি) সকাল থেকে দিনব্যাপী ঢাকার শাহবাগ চত্বরে এ কর্মসূচী পালন করে সংগঠনটি। ‘অ্যান্টি জ্যু মুভমেন্ট অব বাংলাদেশ’ এর ব্যানারে সারাদেশের প্রাণী কল্যাণে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন এ কর্মসূচীতে অংশ নেয়। 

জানা গেছে, চিড়িয়াখানা বন্ধের দাবিতে সম্মিলিত আন্দোলন বন্যপ্রাণীর টর্চার সেল অবৈধ চিড়িয়াখানা বন্ধের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর গণচিঠি লিখন কর্মসূচীর সাথে আর বেশ কিছু কর্মসূচী পালন করেন তারা। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল, খাঁচাবন্দী হয়ে অবস্থান গ্রহণ, শিকল পড়ে সমাবেশ ও মানবন্ধন, ব্যানার, ফেস্টুন, প্লেকার্ড, লিফলেট বিতরণ প্রভৃতি। 

সারাদেশে অবৈধ চিড়িয়াখানা বন্ধ করার এ আন্দোলনের সদস্য সচিব আবুল বাশার মিরাজ তার বক্তব্যে বলেন, চিড়িয়াখানায় গেলে প্রায়ই দেখা যায় কোনো না কোনো প্রাণী অসুস্থ। দেশের কোনো চিড়িয়াখানায় সঠিক ব্যবস্থাপনা নেই। আসলে চিড়িয়াখানায় তাদের রেখে কষ্ট দেয়ার কোনোই মানে হয় না। সারাদেশের সকল অবৈধ চিড়িয়াখনা বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি।

পরিবেশবাদী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেভ দ্য নেচার অব বাংলাদেশ এর চেয়্যারমান ও অ্যান্টি জ্যু মুভমেন্ট অব বাংলাদেশ আহবায়ক আ.ন.ম. মোয়াজ্জেম হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, সারাদেশের অর্ধ শতাধিক অবৈধ চিড়িয়াখানার নিষ্ঠুর পরিবেশে বন্দী হাজারও বন্যপ্রাণী তিল তিল করে মৃত্যুর প্রহর গুনছে। এই নির্দোষ অসহায় বন্যপ্রাণীদের বন্দি জীবনের অবসান ও নিরাপদ অভয়ারণ্য নিশ্চিতের দাবিতে সারাদেশ থেকে জাতীয় সংসদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাবর ১ লক্ষ পোসটকার্ড প্রেরণ ও একই দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে পোস্ট কার্ড/গণচিঠি লিখন কর্মসূচীর পালিত হয়। চিড়িয়াখানা নিষ্ঠুর পরিবেশে বন্দী সকল পশুপাখির মুক্তি চাই। চিড়িয়াখানা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমরা এ আন্দোলন চালিয়ে যাব। 

এ সময় অ্যাডভোকেট ফারহানা ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, বন্যপ্রাণী শিকার, ধরা, মারা, ক্রয়-বিক্রয়, পাচার, দখলে রাখা ও খাওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। দেশে এ সংক্রান্ত আইন থাকলেও তা কার্যকর হচ্ছে না, এগুলো যথাযথভাবে কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছি।

অ্যানিমেল ওয়েলফারের স্বেচ্ছাসেবক সাজেদা হোসেইন তার বক্তব্যে বলেন, পশু-পাখির স্থান চিড়িয়াখানা নয়। এরা কখনই বিনোদন ও ব্যবসার মাধ্যম হতে পারে না। তাদের উপর অত্যাচার করার অধিকার কারো নেই। সারাদেশের অবৈধ চিড়িয়াখানা বন্ধ করে পশু-পাখিদের উন্মুক্ত বিচরণের জন্য বনে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

এ সময় অনান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সেভ দ্য নেচার অব বাংলাদেশের সহ-সভাপতি শেখ মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান, ঢাকা মহানগরের সহ-সভাপতি মামুন পারভেজ, কিশোরগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আল-আমিন, জামালপুর জেলার সাইদুর রহমান, সদস্য মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ ইউসুফ, আল নাহিয়ান আবির, রবিউল ইসলাম, সানি তালুকদার, শামীম আহমেদ, নাহিদ রায়হান, ঢাকা কলেজ ইউনিটের সমন্বয়ক আবেদ রহমান তূর্য, সেভ দ্য নেশনের কানিজ আয়েশা, এনিমেল প্লানেট বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আজিজুল হাকীম হানী, ভয়েসলেস লাইভস বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রুকসাথ হক, সংঘ মিত্রার মিতা দত্ত, বাংলাদেশ এনিমেল রাইটস্ এর মুখ্য কর্মকতা নাঈমুল ইসলাম, মুক্তা প্রিয়াসহ আরও অনেকে।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply