রুশ অ্যাথলেটদের নিষিদ্ধ করতে চাপের মুখে প্যারিস অলিম্পিক

|

প্যারিস অলিম্পিক বর্জনের ডাক দিতে পারে প্রায় ৪০টি দেশ। আর তাতে ২০২৪ সালের অলিম্পিক অর্থহীন হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন পোল্যান্ডের ক্রীড়া ও পর্যটন মন্ত্রী কামিল বোর্নিজুক। রাশিয়া ও বেলারুশিয়ান অ্যাথলেটদের অলিম্পিকে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞার দাবিতে পোল্যান্ডের সাথে একজোট হয়েছে লিথুয়ানিয়া, এস্তোনিয়া ও লাটভিয়াও। খবর ডেইলি মেইলের।

গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ খ্যাত অলিম্পিক গেমসের পরবর্তী আসর বসতে যাচ্ছে প্যারিসে। আগামী বছরের ২৬ জুলাই শুরু হয়ে ১১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে এই আসর। সর্বমোট ৪৮টি ইভেন্ট নিয়ে সাজানো হয়েছে প্যারিস অলিম্পিক ২০২৪। তবে এরই মধ্যে প্যারিস অলিম্পিক ঘিরে জোরালো হচ্ছে বয়কটের ডাক। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি আইওসি সম্প্রতি রাশিয়া ও বেলারুশের খেলোয়াড়দের নিরপেক্ষ অ্যাথলেট হিসেবে প্যারিস অলিম্পিকে অংশগ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এরপর থেকেই চাওর হয়েছে বয়কট প্রসঙ্গ। যার সর্বশেষ সংযুক্তি, পোল্যান্ডের ক্রীড়া ও পর্যটন মন্ত্রী কামিল বোর্নিজুকের মন্তব্য।

কামিল বোর্নিজুক বলেন, আমি মনে করি না যে, অলিম্পিকের আগে আমাদের এমন কঠিন সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হতে হবে। অবশ্যই আইওসি এটা বিবেচনা করবে। না হলে আমরা যে জোট গঠন করবো তাতে প্রায় ৪০টি দেশ প্যারিস অলিম্পিক বর্জন করতে পারে। আর অলিম্পিককে অর্থহীন করতে সেটাই যথেষ্ট।

পোল্যান্ডের সঙ্গে একমত হয়ে লিথুয়ানিয়া, এস্তোনিয়া এবং লাটভিয়াও সম্মিলিতভাবে রাশিয়ান ও বেলারুশিয়ানদের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করেছে।

এস্তোনিয়ার সংস্কৃতি মন্ত্রী পিরেট হার্টম্যান বলেন, আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আমরা আমাদের সিদ্ধান্তে অটল। রাশিয়ান ও বেলারুশিয়ান অ্যাথলেটদের অংশগ্রহণের ব্যাপারে আইওসি এখনই কোনো সিদ্ধান্ত না নিলে অলিম্পিক বয়কট করা ছাড়া আমাদের সামনে কোনো উপায় থাকবে না।

লাটভিয়ার জাতীয় অলিম্পিক কমিটির সদস্য বলছেন, যতদিন ইউক্রেন যুদ্ধ চলমান ততদিন রাশিয়া ও বেলারুশিয়ানদের অলিম্পিকে অংশগ্রহণ অগ্রহণযোগ্য। আমরা কোনোভাবেই এটা মেনে নিতে রাজি নই। আইওসি পুনরায় তাদের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে ভাবলে আমরাও অংশগ্রহণের ব্যাপারে ভাববো।

এর আগে প্যারিস অলিম্পিক বর্জনের ব্যাপারে ইঙ্গিত দেন ইউক্রেনের অলিম্পিক কমিটির চেয়ারম্যান ও ক্রীড়া মন্ত্রী ভাদিম গুটসাইট। রাশিয়া ও বেলারুশিয়ানদের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনেস্কিও কথা বলেছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েলের সাথে। তবে ফরাসি প্রেসিডেন্ট সে ব্যাপারে সাড়া দেননি। জেলেনেস্কি ভিডিও বার্তাও পাঠিয়েছিলেন আইওসিকে। তবে আইওসি জানিয়েছে যেকোনো ধরনের বর্জনে শাস্তির মুখে পড়বে অ্যাথলেটরাই।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply