পাতালরেলের কাজ শুরু

|

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মধ্য দিয়ে কাজ শুরু হলো দেশের প্রথম পাতালরেলের। মাটির নিচ দিয়ে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত লাইন হবে প্রায় ২০ কিলোমিটার। আর নতুন বাজার থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত আরেকটি অংশ হবে উড়াল পথে। প্রায় ৫৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পের কাজ ২০২৬ সাল নাগাদ শেষ হওয়ার আশা কর্তৃপক্ষের। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বদলে যাবে রাজধানীর গণপরিবহনের চিত্র- এমনটা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

এক সময় ছিল স্বপ্ন। সে স্বপ্ন পূরণের পথে হাঁটা শুরু করলো বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রীর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের পর দ্বার উন্মোচন হলো দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেলের।

বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড-ডিএমটিসিএলের তথ্য মতে, এমআরটি-১ প্রকল্প দুটি অংশে বাস্তবায়িত হবে। একটি অংশ হবে মাটির নিচে ও অপরটি উড়াল পথে। পাতাল পথে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত দূরত্ব হবে প্রায় ২০ কিলোমিটার। অন্যদিকে, নতুনবাজার থেকে পূর্বাচলের পিতলগঞ্জ পর্যন্ত ১১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার রেললাইন হবে উড়াল পথে। এ রুটের স্টেশন হবে মোট ৯টি। ট্রেনের জন্য একজন যাত্রীকে অপেক্ষা করতে হবে প্রায় সাড়ে ৪ মিনিট।

পাতালপথে স্টেশন হবে ১২টি। প্রতিটি স্টেশনে ট্রেন থামবে প্রতি আড়াই থেকে সাড়ে তিন মিনিট পর পর। এই রুটে চলাচল করবে মোট ২৫টি ট্রেন। প্রতিটি ট্রেনে কোচ থাকবে ৮টি, যাতে করে একবারে তিন হাজারের বেশি যাত্রী বহন করা যাবে। ২০২৬ সাল নাগাদ এ অংশের কাজ শেষ করার আশাবাদ সংস্থাটির।

অপারেশন কন্ট্রোল সেন্টার-ওসিসি’র মাধ্যমে দূর থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে ট্রেন। যাত্রীদের সুবিধার্থে প্রতিটি স্টেশনে থাকবে লিফট, সিঁড়ি ও এসকেলেটর। এমআরটি পাস ব্যবহার করে যাত্রীরা ট্রেনে চড়তে পারবেন। ব্যবহার করা যাবে র‍্যাপিড পাসও।

জানা গেছে, বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল ভবনের সঙ্গে ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গপথ ও উড়াল সেতু নির্মাণ করা হবে, যা মেট্রোরেল লাইন-১ ও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করবে। এতে থাকবে আন্তর্জাতিক মানের অত্যাধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা।

২০২৬ সাল নাগাদ এমআরটি-ওয়ানের কাজ শেষ হলে রাজধানীর পরিবহন ব্যবস্থায় যুক্ত হবে এক নতুন মাইলফলক। যানজট কমাতে পাতাল মেট্রোরেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা সবার।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply