পাকিস্তানের মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলা নিয়ে সর্বশেষ যা জানা গেলো

|

পাকিস্তানের পেশোয়ারের মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০১ জনে। পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় অন্তত ২২৫ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে অন্তত ৫০ জন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। খবর সিএনএন এর।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) পেশোয়ারের মসজিদে চালানো হয় এ হামলা। কড়া নিরাপত্তা বেষ্টিত ওই অঞ্চলে কীভাবে এত বড় হামলা হলো তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে প্রাথমিক তদন্তে এখন পর্যন্ত কয়েকটি বিষয় সামনে এসেছে।

জানা গেছে, আত্মঘাতী হামলার জন্য ওই সন্ত্রাসী পুলিশের পোশাক পরে মসজিদে ঢুকেছিল। তার শরীরে লুকানো ছিল ১২ কেজি ওজনের বিস্ফোরক। ওই সময় ৩০০-৪০০ জন ওই মসজিদে নামাজ পড়ছিলেন। বহু সংখ্যক পুলিশ সদস্যরাও সেখানে নামাজের জন্য এসেছিলেন। ফলে হামলাকারীর পুলিশির পোশাক দেখে তাকে ভালোভাবে চেক করা হয়নি।

নিরাপত্তার গলদ নিয়ে এরই মধ্যে মুখ খুলেছেন খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের পুলিশ প্রধান মোয়াজ্জম জাহ আনসারি। তিনি বলেন, পুলিশের পোশাকে আসায় ঠিকমতো পরীক্ষা করা হয়নি ওই সন্ত্রাসীকে। এটা নিরাপত্তার বড়সড় গাফিলতি ছিল বলে স্বীকার করেন তিনি।

ধারণা করা হচ্ছে, পুলিশের মনোবল ভাঙাই এই হামলা মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল। যে মসজিদে হামলা চালানো হয়েছে সেখানে ওই সময় উপস্থিত ছিলেন শতাধিক পুলিশ সদস্য। এছাড়া মসজিদটির অবস্থানও বেশ স্পর্শকাতর স্থানে। ওই মসজিদের কিছুদূরেই গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও সন্ত্রাসদমন বিভাগের ঊর্ধ্বতন বিভাগের কর্মকর্তাদের আবাসন ছিল। এছাড়া ওই এলাকা একাধিক পুলিশি চেকপোস্ট ও কঠোরতর পুলিশি নিরাপত্তায় মোড়া। এমন একটি স্থানে এত বড় হামলা করে পুলিশের মনোবল ও ঐক্য চূর্ণ করাই ছিল হামলাকারীদের উদ্দেশ্য।

এদিকে, হামলার দায় স্বীকার নিয়েও তদন্তের ব্যাপার আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শুরুর দিকে, এ হামলার পেছনে পাক-তালেবানের হাত আছে বলে দাবি করে এক তালেবান কমান্ডার। পরে অবশ্য দলটির পক্ষ থেকে হামলার দায় অস্বীকার করা হয়। পুলিশ বলছে, হামলা ধরণ দেখে মনে হচ্ছে এটি পাক-তালেবানের কাজ নাও হতে পারে। কারণ, পাক-তালেবার এমন গণহারে হত্যার দিকে যায় না। পুলিশের প্রাথমিক সন্দেহ, আইএসের হাত থাকতে পারে এ হামলায়। এ নিয়ে তদন্ত চলছে।

অবশ্য এত বড় হামলায় ভেতরের কারোর সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব নয় বলে মনে করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ২৩ জন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছেন প্রদেশটির একাধিক পুলিশ কর্মকর্তাও। তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply