অবকাঠামো নেই সরকারি স্কুলে, ধানক্ষেতে টিনের চালায় উড়ছে শুধুই পতাকা

|

স্থানান্তর জটিলতায় হয়নি অবকাঠামো। ধানক্ষেতের মাঝে টিনের চালায় উড়ছে পতাকা, আছে সাইনবোর্ড। যা দেখে বোঝা যায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিপাকে কুড়িগ্রামের উত্তর মাঝের চর আদর্শ স্কুলের শিক্ষার্থীরা। বিপাকে শিক্ষকরাও।

ধানক্ষেতের মাঝে টিনের চালা। প্রথম দেখায় মনে হবে, মাঠ দেখভালের জন্যই এটি তোলা হয়েছে। আসলে তা নয়, এটি একটি সরকারি স্কুল। কুড়িগ্রাম সদরের উত্তর মাঝের চর আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মিত হয় ২০০৪ সালে। সরকারি হয় ২০১৮ সালে। অথচ, নেই কোনো অবকাঠামো; শিক্ষকদের পাঠদানে নেই ব্যস্ততা। শুধুমাত্র পতাকা আর সাইনবোর্ড দেখে বোঝা যায় এটি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

স্থানীয়রা বলছেন, সাইনবোর্ড-পতাকা আর চালার কারণে বোঝা যায় যে এটা একটা স্কুল। এছাড়া বোঝার কোনো উপায় নেই। পড়ালেখার পরিবেশ যদি না থাকে তাহলে কোন অভিভাবক এখানে বাচ্চাদের পড়াতে দেবে? যেখানে ভাল পরিবেশ সেখানেই তো দেবে। নতুন ভবন না হওয়ায় বাড়ির কাছে হওয়া সত্ত্বেও বাচ্চাদের দূরের স্কুলে পাঠাতে হচ্ছে।

স্কুলটিতে কাগজে-কলমে শিক্ষার্থী শতাধিক। তবে, উপস্থিতির হার প্রায় শূণ্য। শিক্ষক আছেন ৫ জন। হতাশ হয়ে পড়েছেন তারাও। শিক্ষকরা বলছেন, স্কুলের চালা আছে কিন্তু কোনো বেড়া নেই। এখানে পড়ালেখার কোনো পরিবেশ নেই। এমনকি স্কুলে আসার কোনো রাস্তাও নেই যে বাচ্চারা স্কুলে আসবে।

প্রধান শিক্ষক জানালেন-স্কুলটি প্রথমে যেখানে গড়ে উঠেছিলে সেখানে বেশিরভাগ সময় থাকতো পানি। তাই, পার্শ্ববর্তী এই এলাকায় সরিয়ে নেয়া হয় ২০১১ সালে। নদীতে ভেঙে যাওয়া পার্শ্ববর্তী এলাকার আরেকটি স্কুল-ও আনা হয় কাছাকাছি স্থানে। উত্তর মাঝের চর স্কুলটি আগের স্থানে ফিরিয়ে নিতে নির্দেশ দেয় শিক্ষা অফিস। এতে তৈরি হয়েছে জটিলতা।

উত্তর মাঝের চর আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেন বললেন, এই জায়গাটায় আগে পানি ছিল। এখন জায়গা ভরাট হয়ে যাওয়ায় অফিস থেকে নির্দেশ আসছে জেনো আগের জায়গায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় স্কুলটিকে।

তবে, এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি নন শিক্ষা অফিসের দায়িত্বশীল কেউই। তবেঁ, দ্রুত স্কুলের স্থানান্তর জটিলতার অবসান হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply