সবুজ কারখানায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ

|

রিমন রহমান:

গেলো বছরে লক্ষ্যের চেয়ে বেশি হয়েছে তৈরি পোশাক রফতানি। ২০২২ সালেই ৪৩ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি করে বাংলাদেশ। পরিবেশ বান্ধব ও কমপ্লায়েন্স কারখানা তৈরির ক্ষেত্রেও এসেছে সাফল্য। কিন্তু বৈশ্বিক নানামুখী সংকটে চলতি বছরে কমতে পারে রফতানি প্রবৃদ্ধি। তাই ক্রেতাদের বাংলাদেশমুখী করতে হাতে নেয়া হয়েছে নানামুখী উদ্যোগ।

এজন্য বাংলাদেশে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের কাছে অবস্থান তুলে ধরছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ডিং শুরু করেছে সংগঠনটি। গত শনিবার (২৮ জানুয়ারি) নারায়ণগঞ্জের দুইটি কারখানায় ১৭ জন রাষ্ট্রদূত উৎপাদন ব্যবস্থা ঘুরে দেখেন। উৎপাদনের ক্ষেত্রে কতোটা পরিবেশ সম্মত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, দেখা হয় এর সবকিছু।

বলা হচ্ছে, নিরাপদ কর্ম পরিবেশের স্বীকৃতি মিললে তৈরি পোশাকের রফতানি বাড়বে। বিজিএমইএ এর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ১৫ ডলারের জ্যাকেট অর্ডার হতো। এখন ৩০-৩৫ ডলারের অর্ডার আসছে। ২০২৩-এ যে টার্গেট রয়েছে, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট হিসেব করলে তা চ্যালেঞ্জিং।

দেশের ১৮৪টি কারখানা এরইমধ্যে পরিবেশবান্ধব উৎপাদনের জন্য পেয়েছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। আরও সাড়ে ৫শ’ কারখানা স্বীকৃতির অপেক্ষায় আছে। এক্ষেত্রে সরকার ও ক্রেতাদের সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসা দরকার।

ফারুক হাসান বলেন, কারখানাগুলোকে পরিবেশবান্ধব করছি। যারা আর্থিক সহায়তা কম পান, সরকারের সাথে মিলে তাদের আরও কীভাবে সহায়তা দেয়া যায় এ নিয়ে কাজ চলছে।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, গ্যাস বিদ্যুতের বাড়তি দামে তৈরি হয়েছে সংকট। পোশাকের নায্য দাম পাওয়াও এখন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ফকির ফ্যাশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফকির কে নাহিদ বলেন, ক্যাপাসিটি পূরণ করে দামের একটা সুবিধা তারা নিতে চাইছে। খরচ বেড়েছে, এটা চ্যালেঞ্জিং। আমরা তা উৎরে যাবো।

চলতি অর্থবছরের জন্য রফতানি লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। শুধু তৈরি পোশাক রফতানি থেকে আয় ধরা হয়েছে ৪৬ বিলিয়ন ডলার।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply